নিজেদের বেফাঁস মন্তব্যের জেরে বরাবরই বিতর্কের শিরোনামে থাকেন বিজেপি নেতা-নেত্রীরা। গতকাল মধ্যপ্রদেশের ভোপালের বিতর্কিত বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা দাবি করেছিলেন, বিরোধী দলের তুকতাকের জন্যই একের পর এক প্রবীণ বিজেপি নেতার মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। যার পর থেকেই জল্পনার শীর্ষে রয়েছেন ভোপালের এই সাংসদ।
এরই মধ্যে অসমের বিজেপি বিধায়ক দিলীপকুমার পালের মন্তব্য ঘিরেও শুরু হয়েছে আলোচনা। শিলচরে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে জনগণের উদ্দেশ্যে প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, কৃষ্ণের মতো বাঁশি বাজালেই গরু বেশি দুধ দেয়। এমনকী, তাঁর এই কথা নিছক মজা নয়। এর বৈজ্ঞানিক সত্যতাও রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
গত রবিবার সন্ধ্যায় শিলচরের জেলা গ্রন্থাগারে অনুষ্ঠিত হয়েছে লোকসংস্কৃতি উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অতিথি হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন অসম বিধানসভার প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ তথা শিলচরের বিধায়ক দিলীপকুমার পাল। এদিন তিনি তাঁর ভাষণে ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতি যে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক, সে কথাই সকলকে বলেছেন। এমনকী, দুনিয়ার সব বিজ্ঞানীরাই আমাদের সংস্কৃতিকে বিজ্ঞানসম্মত বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গেই উদাহরণ দিতে গিয়ে দিলীপবাবু বলেন, ‘আমি বিজ্ঞানী না হলেও ভারতীয় সংস্কৃতির সম্পূর্ণ জ্ঞান রয়েছে আমার মধ্যে। তাই এটা বলতে পারি, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যে বিশেষ সুরে বাঁশি বাজাতেন, সেই বিশেষ সুরে বাঁশি বাজাতে পারলে এখনও গরু সাধারণ পরিমাণের তুলনায় অনেক বেশি দুধ দেয়। সেই বিশেষ সুরে বাঁশি বাজালে গাভীর যে দুধ বৃদ্ধি পায়, এই কথা বিজ্ঞানসম্মত।’ আর এরপরেই তাঁর এমন হাস্যকর তত্ত্ব নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।