সোমবার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমানের জন্যে কি কি ঘোষণা করেন সেইদিকে সকাল থেকেই নজরে ছিল সকলের। বৈঠক শেষ হতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। কারণ দিনশেষে চেনা স্বভাব মতই বর্ধমানকে দু হাত ভরে উপহার দিলেন মমতা। কাটোয়া-কালনার উন্নয়নে ঘোষিত হল একগুচ্ছ প্রকল্পের।
কাটোয়া-কালনা এলাকার মূল জীবিকা যেহেতু কৃষি তাই গতকাল মমতার ঘোষিত প্রকল্পগুলি কৃষিকেন্দ্রিক হওয়ায় উচ্ছ্বসিত সকলে। গতকাল কালনা ২ নম্বর ব্লকে কৃষিভবন, কালনা মুখ্য বাজার চত্বরে ১৬টি বহুমুখী দোকানঘর, কালনার কল্যাণপুরে পাকা সেতু, কালনা ১ নম্বর ব্লকে ১ হাজার মেট্রিকটন ক্ষমতাসম্পন্ন গুদামঘর, মন্তেশ্বরে একটি বৃহৎ নদী সেচ প্রকল্প, কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকে একটি ৩৩–১১ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদুতিক সাবস্টেশন ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় নদীর পাড় সংস্কার ইত্যাদি প্রকল্প কাল ঘোষণা করেন মমতা।
উন্নয়ন এবং মমতা যেন সমার্থক শব্দ। আর সে কথা গতকাল মমতা ফের প্রমাণ করলেন। এদিন একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাসও করেন মমতা। তা হল কেতুগ্রাম ১ নম্বর ও ২ নম্বর ব্লক এবং মঙ্গলকোট ব্লকে বীজ খামার, কালনা ১ নম্বর ব্লক, কাটোয়া ১ নম্বর ব্লক ও পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকে মোট ৩১টি সৌরচালিত নিম্ন ক্ষমতাসম্পন্ন গুচ্ছ নলকূপ ও ১২টি রাস্তার সংস্কার।
এদিন যে যে প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেন তিনি, সেগুলি হল, কালনা ২ নম্বর ব্লকে কৃষিভবন, কালনা মুখ্য বাজার চত্বরে ১৬টি বহুমুখী দোকানঘর, কালনার কল্যাণপুরে পাকা সেতু, কালনা ১ নম্বর ব্লকে ১ হাজার মেট্রিকটন ক্ষমতাসম্পন্ন গুদামঘর, মন্তেশ্বরে একটি বৃহৎ নদী সেচ প্রকল্প, কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকে একটি ৩৩–১১ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদুতিক সাবস্টেশন ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় নদীর পাড় সংস্কার। কালনা মহকুমার পূর্বস্থলী দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলছিলেন, ‘কৃষি, তঁাত, সেচের ব্যবস্থা, সব ব্যাপারেই মমতাদি দরাজহস্ত। এর আগে কালনার প্রশাসনিক সভা থেকেও মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের ডালি সাজিয়ে দিয়েছিলেন কালনা–কাটোয়ার জন্য। এত উন্নয়ন রাজ্যের ইতিহাসে বিরল।’