কলকাতা তথা বাংলার সাংস্কৃতিক পীঠস্থান হল নন্দন-রবীন্দ্রসদন চত্বর। সেই সাংস্কৃতিক কেন্দ্রকে নতুন করে গড়ে তুলতে পরিকাঠামোগত পরিবর্তন করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এখন যেখানে বইঘর রয়েছে, সেখানে চারতলা একটি ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে দোতলা বাড়ি তৈরি করা হবে। দোতলায় হবে কাফেটেরিয়া। এই চত্বরে আসা মানুষজন কাচে ঘেরা কাফেটেরিয়ায় বসে কফি খেতে খেতে দু’পাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। নিচে বইঘর, শিশু–কিশোর আকাদেমি–সহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার বই বিক্রির কেন্দ্র হবে। থাকবে রবীন্দ্রসদনের টিকিট কাউন্টার। এছাড়াও তৈরি হবে পর্যটন তথ্যকেন্দ্র।
এই বাড়ি ও এলাকা সৌন্দর্যায়নের রূপরেখা তৈরি করতে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। পুজোর আগেই এই কাজ সম্পূর্ণ হবে। তবে কাজ শেষ হতে ১ বছরের বেশি সময় লাগবে বলেই তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর সূত্রে খবর। নভেম্বরে চলচ্চিত্র উৎসব শুরুর আগে নন্দনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এই চত্বরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খাবারের স্টলগুলিকে এক জায়গায় নিয়ে এসে তৈরি হবে সুদৃশ্য ফুডপার্ক। নন্দন চত্বরে যে জলাশয় রয়েছে, তা ঘিরে নতুন করে সৌন্দর্যায়ন হবে। থাকবে বসার জায়গা।
নভেম্বরের ৮ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে ২৫ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। সাধারণত ১০ নভেম্বর শুরু হয়ে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত চলে এই উৎসব। তবে এবছর রজতজয়ন্তীবর্ষ। তাই উৎসব নির্দিষ্ট দিনের আগেই শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ২ আগস্ট থেকে নন্দনের সবকটি হলেই ছবি দেখানো বন্ধ রয়েছে। নন্দনের ভেতরে দোতলায় অফিসঘর সরিয়ে দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের ভিআইপি লাউঞ্জ। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে উৎসবে আসা পরিচালকদের সহায়তা কেন্দ্র থাকবে। সিনেমা দেখতে এসে অপেক্ষারত দর্শকদের জন্য বসার জায়গা তৈরি করা হচ্ছে। গড়ে তোলা হবে একটি কনফারেন্স হলও। গ্রন্থাগার ও অফিসের পরিকাঠামো ঢেলে সাজানো হবে, পূর্তদপ্তর ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। অক্টোবরের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। তবে হলগুলির কোনও পরিবর্তন হবে না।