প্রথম ভারতীয় শাটলার হিসেবে সিন্ধু যখন বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের মঞ্চে দেশকে স্বর্নপদক এনে দিলেন রবিবার, তখন অপরজনের কৃতিত্বও একেবারেই ছোট করার নয়। ১৯৮৩ প্রকাশ পাড়ুকোনের পর বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের মঞ্চে পুরুষ সিঙ্গলসে ব্রোঞ্জ জিতলেন সাই প্রণীত। পুসারলা ভেঙ্কট সিন্ধু এবং সাই প্রণীত ভামিদিপতি। দক্ষিণী এই দুই শাটলার নিঃসন্দেহে এইমুহূর্তে দেশের ক্রীড়াজগতের উজ্জ্বল দুই নক্ষত্র।
এই দুই শাটলারের হাত ধরে সদ্য সমাপ্ত বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের মঞ্চে উন্মোচিত হল ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের এক নয়া দিগন্ত। স্বাভাবিকভাবেই দেশের প্রথমসারির দুই শাটলারের কৃতিত্বে গর্বিত ব্যাডমিন্টন অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া। সোনাজয়ী সিন্ধু ও ব্রোঞ্জজয়ী প্রণীতকে অভিনন্দন জানিয়ে দুই শাটলারের জন্য আর্থিক পুরস্কার মূল্য ঘোষণা করল বিএআই। বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ঐতিহাসিক সোনা জয়ের জন্য সিন্ধুকে ২০ লক্ষ টাকা এবং ব্রোঞ্জ জয়ের জন্য প্রনীতের জন্য ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার মূল্য ঘোষণা করল দেশের ব্যাডমিন্টনের গভর্নিং বডি।
সোনা জয়ের পাশাপাশি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের মঞ্চে সবচেয়ে সফল মহিলা সিঙ্গলস প্লেয়ার হিসেবে নিজেকে রবিবার উন্নীত করেন সিন্ধু। সিন্ধু-প্রণীতকে প্রশংসায় ভরিয়েছেন বিএআই’য়ের সাধারণ সচিব অজয় সিংহানিয়াও। দুই শাটলারকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি জাতীয় কোচ পুলেল্লা গোপিচাঁদ ও বিদেশি কোচ কিম জি গুং’কেও অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে সিন্ধু-প্রণীত পরবর্তী প্রজন্মের শাটলারদের কাছে অনুপ্রেরণা বলেও দাবি করেন তিনি।