আর দুদিন পরই বাংলার শাসক দলের ছাত্র সমাবেশ। সেই নিয়ে তৃণমূল সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, ‘এবার কিন্তু মেয়ো রোডে ছাত্রদের এনে রেকর্ড সমাবেশ করব। এই প্রথম প্রতিটি কলেজে গিয়ে জেলার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতিরা ছাত্রদের সঙ্গে সমাবেশ নিয়ে বৈঠক করেছেন। এবার বহু ছাত্র মেয়ো রোডে আসবেন।’
অন্যদিকে, সমাবেশ উপলক্ষে প্রস্তুতি চলছে। এই সমাবেশে প্রধান বক্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এছাড়াও সমাজের বিশিষ্টদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল ভবনে জেলার ছাত্র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘সমাবেশে ছাত্ররা যেন শামিল হন বেশি।’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৮ আগস্ট কী বার্তা দেন তা নিয়ে সকলের কৌতূহল তুঙ্গে। ছাত্র সংসদের নির্বাচন হবে আগামী বছর। শহর জুড়ে হোর্ডিং লাগানো হয়েছে। জেলায় জেলায় প্রস্তুতি সভা হচ্ছে। সূত্রের খবর, দলীয় শৃঙ্খলার ওপরই জোর দেবেন বেশি। প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে। মিছিল কোন পথ দিয়ে আসবে তাও ঠিক হয়েছে। বিজেপি–র ছাত্র সংগঠন এবিভিপি–র রাজনৈতিক মোকাবিলা কীভাবে করা যায় তা নিয়েও নেত্রী বলবেন।
শনি ও রবিবার তৃণমূল ভবনে ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে দলের নেতারা শেষ বৈঠক করেন। শনিবার এসেছিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যুব ও ছাত্র সংগঠন তিনি দেখছেন। ছাত্র নেতাদের তিনি বুঝিয়ে দেন, এবার সভার গুরুত্ব অনেক বেশি। রবিবার ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রাক্তন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। সমাবেশের প্রস্তুতি কতটা এগিয়েছে তা সবই জানানো হচ্ছে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।