সমস্যায় পড়েছেন? কেউ আপনাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেছে? তাহলে ‘দিদিকে বলো’। গোটা বাংলা জুড়ে এটাই এখন মুশকিল আসানের নয়া মন্ত্র। অনিল কপূর অভিনীত ‘নায়ক’ সিনেমায় যেমন যে কোনও অভাব-অভিযোগ নিয়ে ফোন আসত একদিনের মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। আর সেই ফোন পেয়েই অকুস্থলে ছুটে গিয়ে সমস্যার সমাধান করতেন তিনি। সম্প্রতি সেই কায়দাতেই রাজ্যবাসীর নানা সমস্যার সমাধান করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ ও মতামত জানতেই চালু হয়েছে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচী।
টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে এবং ই-মেল পাঠিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো যাচ্ছে নিজেদের দাবি-দাওয়ার কথা। এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, রাজ্য জুড়ে কর্মসংস্থানের চাহিদাই সবার উপরে। জনসংযোগের দ্বিতীয় দফা শেষের আগে এই তথ্যই এসেছে তৃণমূল নেতৃত্বের হাতে। সরকারি চাকরি তো বটেই অন্য কোনও সংগঠিত শিল্প বা সংস্থায় কাজ চাইছেন বেশির ভাগ মানুষ। সেই চাহিদা নিয়ে করণীয় কী, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে তা-ই বিশ্লেষণ করছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
তৃণমূল জমানায় রাস্তাঘাট, আলো এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা হয়েছে। শহরাঞ্চল তো বটেই, গ্রামীণ এলাকাতেও এই ধরনের কাজ মানুষের চোখে পড়ছে। গড়ে উঠেছে নতুন নতুন শিল্পতালুকও। বলা ভাল, ক্ষমতায় এসেই রাজ্যের শিল্প-ক্ষেত্রের হালহকিকত বদলে দিয়েছেন মমতা। তাঁর আমলে এসেছে লগ্নীর জোয়ার। তবে এর পাশাপাশিই সমান তালে বেড়েছে রোজগার নিয়ে মানুষের চাহিদা। প্রশান্তের সংস্থার পরামর্শে গ্রামে গ্রামে গিয়ে তার মুখোমুখি হচ্ছেন জনপ্রতিনিধিরা। রাজ্যের বেশির ভাগ জেলায় বিধায়কদেরই এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতা এক।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরে ‘খাদ্যসাথী’, ‘কন্যাশ্রী’, ‘সুবজসাথী’র মতো কিছু প্রকল্প চালু করেছেন। এই প্রকল্পগুলিতে বড় সংখ্যক মানুষ উপকৃত হয়েছেন। জনসংযোগের সময় তা জেনেছেন জনপ্রতিনিধিরা। আর জনসংযোগের নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে বিধায়কেরা এ সব অভিজ্ঞতার কথাই জানাচ্ছেন ‘টিম প্রশান্তে’র কাছে। উল্লেখ্য, বেশ কিছু জেলায় এই জনসংযোগের দ্বিতীয় পর্যায় শেষের মুখে। কয়েকটি জেলায় তৃতীয় পর্যায় শুরু হয়েছে।