দ্বিতীয় মোদী সরকারের প্রথম বাজেট ঘোষণার দিনই ধস নেমেছিল শেয়ার বাজারে। আর ঠিক তারপরের সপ্তাহেই আরও ভয়াবহ চেহারা নিয়ে তা রীতিমতো ঝাঁকুনি দিয়েছিল লগ্নিকারীদের। সেই থেকে পতন লেগেই আছে শেয়ারবাজারে। পড়ে চলেছে টাকার দামও। গত বৃহস্পতিবারই ডলারের তুলনায় ২৬ পয়সা পড়ে যায় টাকার দাম। আর আজ, সোমবার ফের কমল টাকার দাম। এখন আমেরিকার এক ডলারের তুলনায় ভারতের টাকার দাম হয়েছে ৭২ টাকা ৩ পয়সা। ডলারের তুলনায় টাকার দাম কমতে কমতে এখন প্রায় বাংলাদেশের মুদ্রার সমান হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের এক টাকার মূল্য বাংলাদেশে ১ টাকা ১৬ পয়সা। অর্থাৎ ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের মুদ্রার দাম মাত্র ১৬ পয়সা বেশি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালে টাকার দাম এর আগে কখনও এত কমেনি। গত ৮ মাসের মধ্যে এটাই বৃহত্তম পতন টাকার। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিশ্ব জুড়েই উন্নয়নশীল দেশগুলির মুদ্রার দর কমছে। চিনের মুদ্রা ইউয়ানের দর নেমেছে ১১ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর ফলে চাপ বাড়ছে টাকার ওপরে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম এখন কম। ফলে কিছুটা সুবিধা হয়েছে ভারতীয় মুদ্রার। না হলে টাকার দাম আরও কমত। সোমবার ডলারের তুলনায় টাকার দাম ৭১ টাকা ৯১ পয়সা থেকে ৭২ টাকা ২৩ পয়সার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।