উত্তর শহরতলির ছোট্ট এলাকা দমদম। আয়তনে ছোট্ট হলে কি হবে, এই দমদমের মধ্যেই রয়েছে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার তিনটি প্রধান মাধ্যম। রেলস্টেশন, মেট্রোস্টেশন এবং বিমানবন্দর – এই তিনটিই রয়েছে দমদমে। তবে এই দমদমেরই পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস। যা শুনলে গায়ের রোমকূপ খাঁড়া হতে বাধ্য।
জানা যায়, সিরাজদ্দৌলাকে হারিয়েছিলেন যে ইংরেজ সাহেব, তাঁর নাম লর্ড ক্লাইভ। তিনি ভারতে থাকাকালীন বাস করতেন এই দমদমেই। নাগেরবাজার এলাকায় এখনও রয়েছে তাঁর বাসস্থান। নাম ক্লাইভ হাউস। এছাড়াও ইংরেজ সেনাদের থাকার জন্য এই দমদমের বুকেই ক্যান্টনমেন্ট তৈরি করা হয়েছিল। যা এখন শুধু নামটাই বহন করে চলেছে। এ ছাড়াও রয়েছে গোরাবাজার। দমদমে ইংরেজ আমলে তৈরি হয় দমদম সেন্ট্রাল জেল। সেখানে বহু স্বাধীনতা সংগ্রামী জেল খেটেছেন। তবে বর্তমান সরকারের আমলে দমদম এখন উন্নয়নের শীর্ষে। রাস্তাঘাট, আলো, নিকাশি ব্যবস্থা, শিক্ষা–সংস্কৃতিতে অন্য মাত্রায় পোঁছে গেছে এই এলাকা।
সেই দমদম পুরসভাই এবছর ৯০ বছর অতিক্রম করছে। সে উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে নাগেরবাজার মোড়ে দমদম পুরসভা প্রাঙ্গণে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে দমদম পুরসভার ইতিহাস ও উন্নয়নের ওপর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বই প্রকাশিত হয়। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে। এরপর শুরু হয় একটি সুবিশাল র্যালি। সেই পদযাত্রায় অংশ নেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সাংসদ সৌগত রায়, পুরপ্রধান হরেন্দ্র সিং, উপ-পুরপ্রধান বরুণ নট্ট সহ প্রমুখ। ওঁদের থেকেই শোনা গেল, গোটা বছর ধরেই বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ৯০ বছর পূর্তি পালন করা হবে।