চব্বিশ ঘণ্টা আগেও যে ইংল্যান্ডকে দেখে মনে হচ্ছিল লিডসে পাল্টা হাওয়া বইয়ে দেওয়ার জন্য নেমেছে, তাদেরই বাস্তবিক ভরাডুবি হল। হেডিংলে-তে মাত্র ৬৭ শেষ হয়ে গেল জো রুটের টিমের ব্যাটিং। গত ৫২ বছরের ইতিহাসে এত খারাপ পারফরম্যান্স অ্যাসেজে করেনি ইংল্যান্ড। হেডিংলে-তে এটাই কোনও টেস্টে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে কম রান। ইংল্যান্ডের জঘন্য পারফরম্যান্সের পর প্রশ্ন উঠছে, ওয়ান ডে আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দাপটে কি ক্রিকেটের আঁতুরঘর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে টেস্ট ক্রিকেট?
বিশ্বকাপ দলে সুযোগ দেওয়া হয়নি জশ হেজলউডকে। তা নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছিলেন অস্ট্রেলীয় পেসার। কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার তাঁকে আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘অ্যাশেজে তুমিই অস্ট্রেলিয়ার মূল বোলার।’’ শুক্রবার হেডিংলেতে তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন হেজলউডের বিধ্বংসী বোলিংয়েই বেসামাল ইংল্যান্ড। হেজলউড, প্যাট কামিন্স, জেমস প্যাটিনসন ত্রয়ীর সামনে দাঁড়াতে পারলেন না রুট, বাটলাররা। ১২.৫ ওভারে ৩০ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট হেজলউডের। তিন উইকেট কামিন্সের ঝুলিতে। দুই উইকেট নেন প্যাটিনসন। বিপক্ষের ন’জনই ফিরে যান দশের কম রান করে। শুধুমাত্র জো ডেনলি ১২ রান করেন।
হেডিংলের পিচ শুরু থেকেই পেসারদের সাহায্য করেছে। প্রথম দিন অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় দিন চা-বিরতি পর্যন্ত মোট ১৩টি উইকেটের পতন হয়। যার ১২টিই পেসারদের নেওয়া। প্রথম ইনিংসে রান পাওয়ার পরে দ্বিতীয় ইনিংসে সেই ফর্ম ধরে রাখতে পারলেন না ডেভিড ওয়ার্নার। ব্রডের লেগ কাটার ওয়ার্নারের পিছনের পায়ে আছড়ে পড়ে। ডি আর এস নিয়েও কোনও লাভ হয়নি। শূন্য রানে ফিরে যেতে হয় তারকা ওপেনারকে।
ইংল্যান্ডের জঘন্য পারফরম্যান্সের পর প্রশ্ন উঠছে, ওয়ান ডে আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দাপটে কি ক্রিকেটের আঁতুরঘর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে টেস্ট ক্রিকেট?জিওফ্রে বয়কটের মতো প্রাক্তন বলেছেন, ‘কোচেরা এখন বাচ্চাদের টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং শেখাচ্ছেন। ক্রিকেট প্রশাসকরাও তা-ই করছেন। টেস্ট ক্রিকেটে কী ভাবে ব্যাট করতে হবে, তা আর শেখানো হয় না।’ বয়কটকে সমর্থন করে অ্যালিস্টার কুক বলেছেন, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম, চার দিনের ক্রিকেটকে সামনে রেখে বড় হওয়ার চেষ্টা করতাম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ডিফেন্স করতাম বা বল ছাড়তাম। বাচ্চারা এখন সে সব শেখে না।’