বীরেন্দ্র সহবাগের সুরে সুর মেলালেন সৌরভ গাঙ্গুলী। মহারাজাও বললেন অনিল কুম্বলেকে নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান পদে বসানো হোক। শুধু তাই নয় টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন, সহবাগকেও যদি নির্বাচক কমিটিতে আনা যায়, তাহলে দারুণ হবে।
সৌরভের কথায়, ‘অনিল কুম্বলে নির্বাচক হলে দারুণ হবে। সৎ, অভিজ্ঞ। অনেক বড় ক্রিকেটার ছিল। শেহবাগ থাকলেও ভাল হবে। সাহসী। নির্দিষ্ট লক্ষ্য রয়েছে। দেশকে জেতানোর জন্য খেলে গেছে বরাবর। বড় ম্যাচ কীভাবে খেলতে হয় তা বীরুর থেকে ভাল কেউ জানে না। তাই অনিল ও বীরুকে নির্বাচক করা হোক।
কিছুদিন আগেই টিম ইন্ডিয়ার কোচ হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন সৌরভ। তবে এখনই নয়। ফের সৌরভ বলে দিলেন, ‘বিরাট কোহলি চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার। ওর সঙ্গে কাজ করতে পারলে ভাল লাগবে। তবে এখনই নয়। ভবিষ্যতে টিম ইন্ডিয়ার কোচ হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে।’ এরপরই সৌরভের সংযোজন, ‘আগামী দু’বছর ভারতের অনেক সফর রয়েছে। শাস্ত্রীর উপর অনেক দায়িত্ব। তারপর দেখা যাক।’
নির্বাচকদের বেতন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সৌরভ। বর্তমানে চেয়ারম্যান এমএসকে প্রসাদ পান ১ কোটি। বাকিরা ৮০ লক্ষ। তবে বর্তমান নির্বাচকমন্ডলী সাকুল্যে খেলেছেন মাত্র ১৩ টেস্ট। আর কুম্বলে ও বীরুর টেস্ট ম্যাচের সংখ্যা প্রসাদদের চেয়ে বহুগুণ বেশি। যেমন ভারতীয় দলের হেড কোচ বছরে প্রায় ৮ কোটি পান। এই বৈষম্য দূর করার পক্ষে সৌরভ। বলেছেন, ‘নির্বাচকদের ভাল টাকা দেওয়া দরকার। নির্বাচকদের বড় ভূমিকা রয়েছে। কোচ একটা মতামত জানায়। দল বাছার দায়িত্বটা কিন্তু নির্বাচকদের উপরেই থাকে।’
কিছুদিন আগেই কুম্বলেকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন বীরু। অনিল কুম্বলের মধ্যে ক্রিকেটারদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলার এক ক্ষমতা আছে। সে কারণেই তাঁর নির্বাচকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান পদে বসা উচিত। তবে অনিল কুম্বলের মতো কোনও ব্যক্তিত্বকে সেই পদে বসাতে হলে বাৎসরিক পারিশ্রমিক অনেকটাই বাড়াতে হবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। এমনটাই মত বীরেন্দ্র সহবাগের। বছরে ‘মাত্র এক কোটি টাকায়’ এই কাজ করতে অনেকেই রাজি হবেন না। এমনটাই মত বীরেন্দ্র সহবাগের। তাঁর সাফ কথা, জাতীয় নির্বাচক পদে ভালো লোক পেতে হলে বেশি টাকা দিতে হবে।