রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম আসানসোলে তৃণমূলের কর্মীসভায় যোগ দিতে এসেছিলেন। তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে শুক্রবার প্রথমবার আসানসোলে বৈঠক করে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, পিছনে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি না থাকলে কেউ কথা শুনবে না। কর্মীসভায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের মেয়র এবং পশ্চিম বর্ধমান তৃণমূলের সভাপতি বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি, রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, কুলটির বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়, বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়, জেলা চেয়ারম্যান ভি শিবদাসন এবং ডেপুটি মেয়র তবস্সুম আরও প্রমুখ। মেয়র জানান, “পি চিদম্বরমকে বিজেপি ভয় দেখাচ্ছে। এভাবে ইডি, সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে চমকিয়ে রাখা নীতিগতভাবে অন্যায়। আপনারা একসঙ্গে থেকে জনগণের সেবা করুন”।
ফিরহাদ বলেন, “নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আসানসোলের ফল অন্যরকম হত। এখানে আমাদের সংগঠন, লোকবল সবই আছে। এখানকার পুরনিগম আমাদের। জেলা পরিষদ আমাদের। বিধায়করা আমাদের। তাই ফল খারাপ হওয়ার কথা নয়। আমাদের আরও দায়িত্ব নিতে হবে। আরও মিশতে হবে মানুষের সঙ্গে। আসানসোলে যে কোনও নির্বাচনের আগে বিজেপি পরিকল্পিতভাবে এখানে দাঙ্গা লাগার পরিস্থিতি তৈরি করে। এরপর তার জেরে নির্বাচন জিততে চায়। আমরা সবরকমের সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করছি”। ফিরহাদ হাকিম বলেন, “দিদিকে বলো কর্মসূচি ভীষণভাবে সফল। আসানসোল থেকেও বহু ফোন এসেছে। মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি অনেক সমস্যা সমাধানও করেছেন ইতিমধ্যে। বিজেপি–র একটা অদ্ভুত ব্যাপার, ওরা আমাদের যাদের চোর বলে বদনাম করে, তাদেরই আবার গেরুয়া ওয়াশিং মেশিনে ধুয়ে শুদ্ধ করে নিয়ে নেয়। আবার তারাও সুবিধা করতে না পেরে আমাদের দরজায় চলে আসে। এটাই বিজেপি–র রাজনৈতিক ছক”।