রোগের কবল থেকে মানুষকে দূরে রাখতে বরাবরই উদ্যোগ নেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাই প্রতি বছরই ডেঙ্গুর সময় এলে একাধিক পদক্ষেপ নেন মমতা৷ অন্যথা হল না এবারও৷ ডেঙ্গু প্রতিরোধে বরাদ্দ হল ৭ কোটি টাকা৷
ডেঙ্গু নির্মূলকরণের জন্য ৭ কোটি টাকারও বেশী বরাদ্দ করল স্বাস্থ্য দফতর। ডেঙ্গু সৃষ্টিকারী মশার লার্ভা নিধনে ৬৬,৮৪০ কেমিক্যাল লার্ভিসাইড এবং ১,১৬,৯৭০ কেজি বায়ো লার্ভিসাইডে এক ধরনের বিশেষ ব্যাকটিরিয়া ব্যবহৃত হবে। এগুলি কেনার জন্য বরাদ্দ করা অর্থ কাজে লাগানো হবে বলে স্বাস্থ্য দপ্তর এক নির্দেশিকা জারি করে এ কথা জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, কেমিক্যাল লার্ভিসাইড আগেও ব্যবহৃত হয়েছে। এর সঙ্গে এবার বায়ো লার্ভিসাইড নামে এক ধরনের বিশেষ ব্যাকটিরিয়া ছাড়া হবে। যেখানেই ডেঙ্গু মশার লার্ভা দেখা যাবে সেখানেই ছাড়া হবে। এই ব্যাকটিরিয়ার প্রভাবে জলের কোনও ক্ষতি হবে না। লার্ভাটাকে নষ্ট করলে আর পূর্ণাঙ্গ মশার সৃষ্টি হবে না। বায়ো লার্ভিসাইড জেলা এবং গ্রামাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় বেশী ব্যবহৃত হবে।
উত্তর ২৪ পরগনায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানোয় জোর দিতে জেলাশাসকের কাছে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। দপ্তরের আইইসি (ইনফর্মেশন এডুকেশন কমিউনিকেশন) বিভাগ উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্লক এবং পুরসভাভিত্তিক মাইকে প্রচার করার জন্য। এই কাজের জন্য ১০০ অটোরিকশা ব্যবহার করা হবে। কীভাবে সচেতন হতে হবে তার পোস্টার অটোরিকশার গায়ে টাঙানো থাকবে। ৩০ দিন টানা এলাকায় ঘুরে ঘুরে মাইকে প্রচার এবং লিফলেট বিলি করা হবে। সমস্ত অটোরিকশা চালককে রেকর্ড করা সিডি এবং লিফলেট দেওয়া হবে। এ কাজের জন্য ৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে৷
স্বাস্থ্য দপ্তর জানতে চেয়েছে কোথায় কত পরিমাণ কেমিক্যাল এবং বায়ো লার্ভিসাইড প্রয়োজন। সব জেলাশাসক ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককেও এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।