কিছুদিন আগেই শুরু হয়েছে ২০২১ সালের জনগণনার প্রাথমিক প্রস্তুতি। চলছে বিভিন্ন নথি পরীক্ষা ও সংশোধনের পালা। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর এক তথ্য। এই নথি পরীক্ষার মধ্যেই বেমালুম উধাও হয়ে গিয়েছে তেলেঙ্গানার ৪৬০টি গ্রাম ও দু’টি শহর। ‘হারিয়ে’ যাওয়া জায়গাগুলি সম্পর্কে তেলেঙ্গানা সরকারের অবস্থান জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে ‘ডিরেক্টরেট অফ সেনসাস ফর তেলেঙ্গানা অ্যান্ড অন্ধ্রপ্রদেশ’।
সূত্রের খবর, প্রাক জনগণনা প্রস্তুতিতে ‘হারিয়ে’ যাওয়া এই গ্রামগুলিকে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং ডিরেক্টোরেট অফ সেনসাস ফর তেলেঙ্গানা অ্যান্ড অন্ধ্রপ্রদেশ। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে টিআরএস সরকার রাজ্যের জেলাগুলির মানচিত্রে পরিবর্তন করার সময়ে যে ১৪টি নতুন জেলা তৈরি করে, তারই অংশ ছিল এই ৪৬০টি গ্রাম। এই ব্যাপক গরমিল সকলের নজরে আসার পরই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তেলেঙ্গানা সরকারের কাজে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে। যে সব গ্রামগুলির কোনও হদিশ নেই, সেগুলি তৎকালীন আদিলাবাদ, খাম্মাম, ওয়ারাঙ্গল, করিমনগর, রঙ্গারেড্ডি, মহবুবনগর এবং মেদাক জেলার অংশ ছিল। এরই মধ্যে রঙ্গারেড্ডি ও মহবুবনগর জেলার সবচেয়ে বেশি গ্রামের কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে খাতায়-কলমে সরকারের ঘরে অস্তিত্ব না থাকলেও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা কিন্তু পাচ্ছে এই ‘হারিয়ে’ যাওয়া গ্রামগুলি। রাজ্য সরকারের এক শীর্ষ অধিকর্তার মতে, এমনটা হওয়ার তো কথা নয়। সরকারের খাতায় নাম না থাকায় এই গ্রামগুলির রেভিনিউ ভিলেজ-এর মর্যাদা পাওয়ার কথা নয়। এদিকে, এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে নিজেদের ঘাড় থেকে দায় ঝেড়ে ফেলে একে অপরের উপর চাপিয়ে দেওয়ার পালা। তবে শীর্ষ সরকারি আধিকারিকরা জেলার পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় গলদ থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে সরাসরি দায় স্বীকার না করে, দোষ চপিয়েছেন জেলার রেভিনিউ অফিসারদের উপর। সব মিলিয়ে এই বিষয়ে আলোড়ন তৈরি হয়েছে তেলেঙ্গানায়। এই সমস্যা কবে মিটবে তা পরিস্কার করে কেউ বলতে না পারলেও, এই সমস্যা সমাধানে তৎপর হয়েছে তেলেঙ্গানা।