লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর আগ্রাসী গেরুয়া বাহিনীর হুমকি-হামলার মুখে মাথা নত করতে বাধ্য হয়েছিলেন তাঁরা। প্রাণ সংশয় তৈরি হওয়ায় নাম লিখিয়েছিলেন বিজেপিতে। তবে পরিস্থিতির শিকার হওয়া সেইসব নেতাদের মধ্যে অনেকেরই ‘ঘর ওয়াপসি’ হয়েছে। বিজেপিতে যোগ দেওয়া হালিশহর, কাঁচরাপাড়া, বনগাঁ পুরসভার একদল কাউন্সিলর, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের ৪ সদস্য, বীরভূমের দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ প্রায় সকলেরই প্রত্যাবর্তন ঘটেছে ঘাসফুল শিবিরে।
কাঁচরাপাড়ার পুরপ্রধান সুদামা রায়ের কথায়, ‘গভীর অনুশোচনায় দিন কাটছিল।’ উপ প্রধান মাখন সিনহার বক্তব্য, ‘তৃণমূলে ফিরে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছি।’ ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলোকনন্দ চৌধুরি বলেন, ‘পরিস্থিতির চাপে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলাম।’ হালিশহর পুরসভার কাউন্সিলরদেরও একই কথা, ‘বিজেপিতে থাকলে দমবন্ধ হয়ে মারা যেতাম।’
তৃণমূলে ফিরেছেন নৈহাটি পুরসভার ১০ কাউন্সিলরও। তাঁদেরই একজন, রাজেন্দ্র গুপ্ত বলেন, ‘বিজেপি ক্লাবঘর ভেঙে তছনছ করেছে। বিজেপিতে যোগ না দিলে ছেলেমেয়ের ওপর হামলা করার হুমকি দিয়েছে।’ বনগাঁ পুরসভাতেও ৪ কাউন্সিলর ফিরে এসেছেন তৃণমূলে। তাঁদের প্রতিক্রিয়া, ‘বিজেপিতে শান্তি পাচ্ছিলাম না।’ দলে ফেরা কাউন্সিলর কার্তিক মন্ডল, দিলীপ মজুমদারেদের মুখে একটাই কথা, ‘যতদিন বাঁচব, তৃণমূলেই থাকব।’