প্রত্যাশা মতোই ভারতীয় দলের কোচেদের দল থেকে ছিটকে গেলেন সঞ্জয় বাঙ্গার।ভারতীয় দলের নতুন ব্যাটিং কোচ হলেন বিক্রম রাঠোর। কিন্তু কেবল ব্যাটিং কোচই বদল হল। বোলিং কোচ হিসেবে থেকে গেলেন ভরত অরুণ ও ফিল্ডিং কোচের পদে বহাল রইলেন এস শ্রীধর। ৫০ বছর বয়সী বিক্রম রাঠোর ১৯৯৬ সালে ভারতের হয়ে ছ’টি টেস্ট ও সাতটি ওডিআই ম্যাচ খেললেও তেমন সাফল্য পাননি। তবে রঞ্জি ট্রফিতে পাঞ্জাবের হয়ে ভুরি ভুরি রান করেছিলেন। এর আগে এনসিএ’র ব্যাটিং কোচের আবেদনও তিনি করেছিলেন। বিসিসিআইয়ের সিইও রাহুল জোহুরি এবং এমএসকে প্রসাদের নেতৃত্বে নির্বাচকমণ্ডলী এই তিন সহকারী কোচকে বেছে নেন। প্রশাসনিক ম্যানেজার সুনীল সুব্রমনিয়ম দায়িত্ব চ্যূত হয়েছেন। তাঁর জায়গায় প্রশাসনিক ম্যানেজার গিরিশ ডোংরে।
কোচ নির্বাচনের প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই বাঙ্গার অপসারণের একটা হাওয়া ছিল। বাঙ্গারেরও খুব বেশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা ছিল না। তবু ২০১৪ থেকে টানা পাঁচ বছর তিনি ছিলেন ব্যাটিং কোচ। তাঁর বিপক্ষে গিয়েছে গত কয়েক বছরে ব্যাটিং ফর্মে অবনতি এবং ঘন-ঘন অদলবদলের মনোভাব। কোহালি এবং পূজারা ছাড়া বাকি ব্যাটিং গ্রুপের মধ্যে ধারাবাহিকতার অভাব বার বার প্রকট হয়ে উঠেছে। অজিঙ্ক রাহানে ছন্দ হারিয়েছিলেন। পূজারার মতো স্তম্ভ টিম থেকে বাদ পড়েছেন। মুরলী বিজয় ছিটকে গিয়েছেন। কে এল রাহুলের মধ্যে ধারাবাহিকতা দেখা যায়নি। রোহিত শর্মা কখনও দলে এসেছেন, কখনও বাইরে বসেছেন। ওয়ান ডে-তে তেমনই চার নম্বর ব্যাটসম্যান নিয়ে অহেতুক পরীক্ষা চলতেই থেকেছে। নির্দিষ্ট কাউকে বেছে নেওয়া যায়নি। সেই রোগ ভুগিয়েছে বিশ্বকাপেও। যদিও একা বাঙ্গারকে এর জন্য দায়ী করা যায় কি না, সেই প্রশ্নও রয়েছে।
অভিযোগ উঠছে, অনেক ক্ষেত্রে টিমের সিদ্ধান্ত শেষ মুহূর্তে বদলে ফেলার ব্যাপারে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টাও করেছেন বাঙ্গার। ব্যাটিং অর্ডার ঠিক করার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে তাঁর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁর সঙ্গে সহমত হতে পারছেন না টিম ম্যানেজমেন্টের অনেক সদস্য। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে কী করে হার্দিক পাণ্ড্যর পরে নামানো হল, সেই প্রশ্নে তোলপাড় হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট। অভিযোগ, এই সিদ্ধান্তের পিছনে বাঙ্গারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বাঙ্গার নিজে যদিও দাবি করেছিলেন, ধোনিকে পরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত সম্মিলিত ভাবে নেওয়া হয়েছিল। তাতেও অবশ্য নিজের উইকেট বাঁচাতে পারলেন না। এম এস কে প্রসাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় নির্বাচকমণ্ডলীদের প্রকাশিত পছন্দের তালিকা অনুযায়ী এক নম্বরে রাঠৌর। দুই ছিলেন বাঙ্গার, তিনে ইংল্যান্ডের মার্ক রামপ্রকাশ।