সারা দেশে অর্থনৈতিক মন্দার বাজার। গাড়ি বাজারে নেমেছে বিরাট ধ্বস। জিডিপির নিরিখে বিশ্ববাজারেও পিছিয়ে পড়েছে ভারত। প্রায় দিন শেয়ারের বাজারের সূচক নিম্নগামী। দেশের অর্থনীতির এই বেহাল দশায় নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমারের কথাকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অর্থনীতির বেহাল দশা নিয়ে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
শুক্রবার দুপুরে টুইট করে রাহুল লেখেন, “সরকারের নিজের অর্থনৈতিক পরামর্শদাতাই শেষমেশ বলে দিয়েছেন যা আমরা অনেক দিন ধরে বলছি- ভারতের অর্থনীতি গভীর সঙ্কটে পড়ে গিয়েছে।” এরপর সনিয়া-পুত্র আরও লিখেছেন, “এ বার আমাদের সমাধানসূত্র বাজারে নগদের জোগান বাড়ান। গরিব মানুষের হাতে টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হোক। বড় লোকের হাতে নয়।”
শুক্রবার সকালে রাজীব কুমারের মন্তব্য তোলপাড় ফেলে দিয়েছে দেশের রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে। তিনি বলেছেন, “ভয়ানক সঙ্কটে ভারতের অর্থনীতি। গত সাত দশকে এমন সঙ্কটের মুখোমুখি হতে হয়নি সরকারকে।” সেই সঙ্গে তিনি এ-ও বলেছেন, “বাজারে নগদের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে তৈরি হয়েছে পারস্পরিক অবিশ্বাস। কেউ কাউকে টাকা ধার দিচ্ছে না।” তাঁর কথায়, “এই প্রবণতা শুধু সরকারি বা বেসরকারি ক্ষেত্রে নয়। প্রভাব পড়েছে প্রাইভেট সেক্টরেও।”
কংগ্রেস নেতাদের কথায়, নোটবন্দির নামে একটি অযথা অ্যাডভেঞ্চারিজমের খেসারত দিচ্ছেন দেশের ১৩০ কোটি মানুষ। বাজারে নগদের সংকটের সেই শুরু। সব চেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হল, বাজারে চাহিদা একেবারেই নেই। তাই উৎপাদনও মার খাচ্ছে। সরকার সে সব দিকে না তাকিয়ে কেবল থিয়েট্রিক্স আর ট্রিক্স দিয়ে বোকা বানাতে চাইছে মানুষকে। এ দিকে এর মধ্যেই আবার টাকার দাম কমেছে। অর্থনীতির হাল যে খারাপের দিকে যাচ্ছে, তা বেশ কিছুদিন ধরেই আন্দাজ করছিলেন অর্থনীতিবিদরা।