নয়াদিল্লী-লখনউ তেজস এক্সপ্রেসের হাত ধরে প্রথম ট্রেন বেসরকারিকরণ করল মোদী সরকার। আইআরসিটিসির হাতে তুলে দেওয়া হল এই এক্সপ্রেস ট্রেন চালানোর দায়িত্ব। তেজসই প্রথম এমন ট্রেন হতে চলেছে যা রেল চালাবে না। চালাবে তারই সহযোগী অন্য একটি সংস্থা। মূলত এভাবেই শুরু হচ্ছে রেলের বেসরকারিকরণের যাত্রা।
প্রসঙ্গত, আগে থেকেই এই জল্পনা ছিল যে, বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সঙ্গে রেলেরও বেসরকারিকরণ করবে কেন্দ্র। দ্বিতীয় মোদী সরকারের প্রথম বাজেটের দিনই স্পষ্ট হয়ে যায় তা। তারপর দেখা যায়, বেসরকারিকরণের দিয়ে প্রথম ধাপ এগিয়ে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন বা আইআরসিটিসির হাতে বেশ কয়েকটি এক্সপ্রেস ও দূরপাল্লার ট্রেন তুলে দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগী হয় কেন্দ্র।
এরপরই পরীক্ষামূলকভাবে আইআরসিটিসির হাতে নিউ দিল্লী-লখনউ তেজস এক্সপ্রেস তুলে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও একে ১০০ শতাংশ বেসরকারিকরণ বলতে নারাজ আইআরসিটিসির আধিকারিকদের একাংশ। তবে রেলের আওতার বাইরে থাকায় তারা নিজেই তেজসের ভাড়া ঠিক করতে পারবে।
এমনকী যাত্রী বা পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রেও রেল যেসব ছাড় দেয়, এই সংস্থাটির সেসব মেনে চলার দায় থাকবেনা। লোকো-পাইলট ও গার্ড ছাড়া সব কর্মীও হবে আইআরসিটিসির। রেলের পরিভাষায় তারা এই ট্রেনটি লিজ দিচ্ছে। তবে সূত্রের খবর, তেজস এক্সপ্রেস নিয়ে এই পদক্ষেপের সুফল পেলেই ১০০ টি ট্রেনের বেসরকারিকরণের পথে যাবে মোদী সরকার।
অন্যদিকে, আইআরসিটিসি সূত্রের খবর, লিজ চার্জ এবং অন্যান্য খরচ সহ প্রতিদিন তেজস এক্সপ্রেস চালাতে সংস্থার খরচ হবে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। আর প্রতিদিন ট্রেন চালিয়ে দৈনিক ১৬ থেকে ১৭ লক্ষ টাকার রাজস্ব ঢুকবে সংস্থার ঘরে। জানা গেছে, সব ঠিকঠাক মতো চললে সেপ্টেম্বরের শেষেই নয়াদিল্লী-লখনউ রুটে পুরোদমে চালু হয়ে যাবে তেজস এক্সপ্রেস।