লোকসভা নির্বাচনের পরে এবার তৃণমূলের পাখির চোখ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই দলের অন্দরে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। গতকাল কোচবিহারের নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীসভায় দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি জানালেন ২১-এর নির্বাচনকে সামনে রেখে বিধানসভা ভিত্তিক কমিটি গড়বে তৃণমূল কংগ্রেস।
সুব্রত আরও জানিয়েছেন, আগামী মাস থেকেই এই কমিটি গঠনের কাজ শুরু হবে। তিনি বলেছেন, “বিধানসভার অধিবেশন শেষ হতেই সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সমগ্র রাজ্যে বিধানসভা ভিত্তিক সংগঠন গড়ে তোলা হবে। তবে কমিটি গঠনের আগে পর্যন্ত যেভাবে কোর কমিটির মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় দলের সাংগঠনিক কাজকর্ম করা হচ্ছে, তা চলবে”। মূলত দলকে চাঙা করতেই তৃণমূল নেতৃত্ব এই বিশেষ কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রত্যেক বিধানসভায় ৪ জনকে দায়িত্বে রেখে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। তবে সেই কমিটি বিধায়কদের নাকি জেলা সভাপতির নেতৃত্বাধীন হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর ভেঙে দেওয়া ব্লক কমিটিগুলি নতুন করে তৈরি করা হবে কিনা, তা নিয়েও স্পষ্ট কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বিধানসভা ভিত্তিক কমিটি গঠনের এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তৃণমূলের দলীয় সংগঠন যেমন ছিল, তেমনই সক্রিয় থাকবে বলে সুব্রত বক্সি জানিয়েছেন।
এদিন কেন্দ্রীয় সরকারকেও একহাত নেন সুব্রত বক্সি। সিবিআই, ইডি-কে দিয়ে ভয় দেখিয়েই বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেছে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কিছু গোয়েন্দা সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি বিভিন্নভাবে ভীতি পরিদর্শন করে ক্ষমতায় এসেছে। এ রাজ্যেও সেটাই করতে চাইছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা একটি দল শুধুমাত্র সংবাদমাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে গেল গেল রব তুলে দিচ্ছে। সংবাদমাধ্যম মানুষের মধ্যে ভুল বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে।’ জনগণকে ভুল বোঝা থেকে আটকাতে গেলে দলের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে এবং নেতা-মন্ত্রীদেরও মানুষের কাছে গিয়ে তাদের সমস্যার কথা শুনতে হবে বলেও জানিয়েছেন তৃণমূলের এই প্রবীণ নেতা।