ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিজিং অ্যান্ড ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (আইএলঅ্যান্ডএফএস)-এর কোহিনূর সিটিএনএল-এ অর্থ তছরুপের মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি)দফতরে হাজিরা দিলেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস) প্রধান রাজ ঠাকরে। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী শর্মিলা, ছেলে অমিত এবং মেয়ে উর্বশী। তাঁর হাজিরা ঘিরে এমএনএস সমর্থকদের বিক্ষোভের আশঙ্কায় মুম্বইয়ে ইডির সদর কার্যালয়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তবে আজ মুম্বই বন্ধের ডাক দিয়েও তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে এমএনএস।
মুম্বইয়ের দাদরে এমএনএস কার্যালয়ের উল্টো দিকে একটি জমি কেনা ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত। ওই জমি কেনা ও বিক্রিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নেমে রাজ ঠাকরেকে তলব করেছিল ইডি। আজ সপরিবার ইডির দফতরে গেলেন রাজ ঠাকরে। তবে তাঁর হাজিরা ঘিরে এখনও পর্যন্ত বড় কোনও অশান্তির খবর নেই। রাজ ঠাকরে নিজেও দলীয় কর্মী-সমর্থকদের শান্ত থাকার আর্জি জানিয়েছেন।
রাজ ঠাকরের সঙ্গে এই মামলার সম্পর্ক কি? তদন্তে নেমে ইডির গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ২০০৫ সালে একটি কনসর্টিয়াম গঠিত হয়। রাজ ঠাকরে, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর যোশীর ছেলে উমেশ যোশী এবং আর এক এমএনএস নেতা রঞ্জন শিরোদকর মিলে ওই কনসর্টিয়াম তৈরি করে কোহিনূর মিলসের একটি অংশ কেনেন ৪২১ কোটি টাকায়। ওই জমিতে প্রথমে একটি শপিং মল তৈরির পরিকল্পনা ছিল। তবে পরবর্তীকালে সেই পরিকল্পনা পাল্টে কোহিনূর ভবন নামে একটি বাণিজ্যিক ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়। জমি কেনার ওই ৪২১ কোটির মধ্যে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ঋণদানকারী সংস্থা আইএলঅ্যান্ডএফএস ২২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে। বাকি ১৯৬ কোটি টাকা সমান অংশে ভাগ করে দেন রাজ ঠাকরে, উমেশ যোশী এবং রঞ্জন শিরোদকর।