কাল থেকে কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমকে নিয়ে জাতীয় রাজনীতি উত্তাল হয়ে আছে। সিবিআই ও ইডি তাঁকে হেফাজতে নিতে উঠে পড়ে লেগেছে। জারি হয়েছে লুকআউট নোটিশ। আর এই সবকিছুর পিছনে কারণ আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় হঠাৎ চিদম্বরমের রক্ষাকবচ তুলে নিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। তবে এই সব কিছুর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্রের আভাষ দেখছে কংগ্রেস। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কীভাবে ৭ মাস মামলাটিকে রিজার্ভে রাখার পর অবসরের মাত্র ৭২ ঘন্ট আগে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর জামিন খারিজ করে দিলেন বিচারপতি সুনীল গৌর।
বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে চিদম্বরম মামলাটিকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা। এদিন এক টুইটে তিনি লেখেন, ‘মোদী সরকার ও বিজেপি দেশটাকে পুলিশ স্টেটে পরিণত করার চেষ্টা করছে। আর গোটা ভারত দেখছে এই সরকারের প্রতিহিংসা মূলক রাজনীতি।’ এরপরই চিদম্বরম মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তিনি লেখেন, ‘দীর্ঘ ৭ মাস ধরে এই মামলার রায়দান স্থগিত করে রেখেছিলেন বিচারপতি। আর অবসর নেওয়ার মাত্র ৭২ ঘন্টা আগে তাঁর রক্ষাকবচ তুলে নেওয়া হল। সম্মানীয় দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই ও ইডি পৌঁছে গেল তল্লাশি চালাতে। একেই কি বলে গণতন্ত্র?’ সুরজেওয়ালার এহেন টুইটে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার হঠাৎ করেই আইএনএক্স মামলায় প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় দিল্লী হাইকোর্ট। এরপর বুধবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন চিদম্বরম। সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেওয়ার জন্য আরও সময় চেয়েছিলেন তিনি। বিচারপতি রামানার এজলাসে এ দিন জরুরি ভিত্তিতে মামলাটি উঠলে তিনি জানিয়ে দেন, বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। তিনিই মামলাটি দেখবেন।