চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম মোদী সরকারের আমলে দেশের ৬ বিমানবন্দর রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থার হাতে। আর দ্বিতীয়বারের জন্য মোদী সরকার ক্ষমতায় ফিরতেই বেসরকারিকরণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে আরও ২০-২৫টির। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া শুরুর আগে থেকেই চূড়ান্ত বিপাকে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ‘তুঘলকি’ নিয়মে এবার প্রবল সঙ্কটে কলকাতা বিমানবন্দরের যাত্রীরা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের সামনে যাত্রী তুলতে বা নামাতে এবং গাড়ি থেকে মাল নামাতে ১০ মিনিট সময়টা কমে হয়েছে ৩ মিনিট। এ প্রসঙ্গে যাত্রী ও তাঁদের পরিজনদের মত, সময়টা একেবারেই অল্প হয়ে গেছে। সঙ্গে যদি কোনও বয়স্ক বা অসুস্থ লোক থাকে তবে কোনওমতেই এই সময়ের মধ্যে নামা-ওঠা সম্ভব নয়। ফলে দিতে হচ্ছে পার্কিং ফি। চলতি বছরে মার্চ মাস থেকে এই নিয়ম চালু হলেও আগস্ট মাস থেকে নিয়ম চালুর বিষয়ে কড়াকড়ি শুরু করেছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে কলকাতা বিমানবন্দরের ডিরেক্টর কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘সময়টা কমানো হলেও পার্কিং ফি কমিয়ে আনা হয়েছে। মার্চের আগে প্রথম ১ ঘণ্টার জন্য পার্কিং ফি লাগত ১০০ টাকা। সেটা মার্চ মাস থেকে প্রথম ৩০ মিনিটের জন্য লাগছে ৪০ টাকা। ৩০ মিনিট থেকে ২ ঘণ্টার জন্য লাগছে ১০০ টাকা।’ উল্লেখ্য, এর আগে যাত্রী নামা-ওঠার ক্ষেত্রে ছাড় ছিল ১০ মিনিট। এই সময়ের বেশি হলে, তবেই নেওয়া হত পার্কিং ফি।
