গাড়ি বাজারে মন্দা। ভোগ্য পণ্যের বিক্রিতে ভাঁটা। এবার আশঙ্কার মেঘ পার্লে জি বিস্কুটেও। ৯০ বছরের পুরনো এই সংস্থা এ বার কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে। সংস্থার অন্দরের খবর, প্রায় ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে পারে পার্লে জি।
বর্তমানে পার্লে জি সংস্থার কর্মী সংখ্যা স্থানীয় ও অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় এক লক্ষ। সংস্থার ক্যাটেগরি হেড মায়াঙ্ক শাহ জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস ধরেই সংস্থার লাভের অঙ্ক প্রায় শূন্য। সার্কুলেশন কমেছে হু হু করে। যার ফলেই এই কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারে সংস্থা। প্রথম দফায় ৮-১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই হতে পারে। সূত্রের খবর, অস্থায়ী ভিত্তিতে যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের ওপরেই ছাঁটাইয়ের কোপ পড়তে পারে বেশি। শাহের কথায়, ‘২০১৭ সালে জিএসটি লাগু হওয়ার পর থেকেই আর্থিক মন্দার মুখে পড়ে বিস্কুটের এই জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। লোকসানের অঙ্ক বেড়েছে চড়চড়িয়ে। বাধ্য হয়েই এক প্যাকেট বিস্কুটের দাম কম করে পাঁচ টাকা রাখতে হয়েছে। ফলে লাভের খাতায় জমা হয়েছে সামান্যই। সরকার হস্তক্ষেপ না করলে এই বেহাল অবস্থা কাটবে না।’
জানা গেছে, প্রত্যেক ১০০ কেজি বিস্কুটে ১২ শতাংশ হারে কর দিতে হত পার্লের মতো সংস্থাকে। এই সংস্থাগুলির আশা ছিল, অন্যান্য বিস্কুটে ১২ শতাংশ হারে জিএসটি লাগু হলেও, কম দামি ছোট বিস্কুট প্যাকেটের জন্য যেন ৫ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হয়। কিন্তু ২ বছর আগে বিজেপি সরকার জিএসটি চালু করার পর সব রকম বিস্কুটেই ১৮ শতাংশ কর চাপানো হয়। যার ফলে বিস্কুটের দাম বাড়াতে বাধ্য হয় পার্লের মতো অনেক সংস্থা। কিন্তু এর পরেই সংস্থার বিক্রি কমতে শুরু করে বলে দাবি পার্লের। একই অভিযোগ করেছেন ব্রিটানিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর বরুণ বেরিও। তিনি সাম্প্রতিক অর্থনীতির বেহাল অবস্থা বোঝাতে গিয়ে বলেন, এখন ৫ টাকার বিস্কুট প্যাকেট কিনতেও দু’বার ভাবছেন ক্রেতারা। পার্লের ময়াঙ্ক শাহের কথায়, তাঁদের বেশিরভাগ প্রোডাক্টই তৈরি মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের কথা ভেবে। কিন্তু জিএসটি লাগু হওয়ার পর থেকেই তাঁদের বিক্রি কমতে থাকে বলে অভিযোগ ময়াঙ্ক শাহের।