লোকসভা ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকেই বাংলা জুড়ে বিজেপি কর্মীদের বাড়বাড়ন্ত চোখে পড়ছে। ভোটের পর বিজেপি কর্মীরা নারায়ণগড়ের যেসব তৃণমূল কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল মঙ্গলবার সেই সবকটা পার্টি অফিসের তালা ভেঙে পুনরায় দলীয় কর্মসূচি শুরু করলেন তৃণমূল নেতা–কর্মীরা। মঙ্গলবার নারায়ণগড়ের পাকুড়শেনি, হীরাপাড়ি, বেনাডিহি গ্রামের তিনটি দলীয় কার্যলয়ের তালা ভেঙে পুনরায় নিজেদের দখলে নিয়ে সেখানে দলীয় পতাকা তোলা হয়।
এই সমস্তটাই হয়েছে নারায়ণগড়ের তৃণমূল বিধায়ক প্রদ্যোত ঘোষের উদ্যোগে। ২৩ মে লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর মেদিনীপুর লোকসভা আসনের মধ্যে থাকা নারায়ণগড় বিধানসভা এলাকায় জয়ের পরই তাণ্ডব শুরু করে গেরুয়া বাহিনী। একের পর এক তৃণমূল পার্টি অফিস ভাঙচুর করে তালা ঝোলানো হয়। বেশকিছু তৃণমূল নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। মারধর, লুটপাট, ভাঙচুর চলে। আতঙ্কে গ্রামছাড়া হন কিছু তৃণমূল কর্মী। ভাঙচুর করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় নারায়ণগড়ের পাকুড়শেনি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় থাকা তিনটি পার্টি অফিসে। আতঙ্কের পরিবেশ বাড়তে থাকায় প্রাণের ঝুঁকিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা–কর্মীরা সেগুলির তালা খুলতে সাহস করে এগিয়ে আসেননি।
বিধায়ক প্রদ্যোত ঘোষ বিজেপি–র ব্লক স্তরের ও জেলা স্তরের নেতাদের টেলিফোনে ও লিখিতভাবে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “রাজনীতিতে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। হারজিত থাকতেই পারে। কিন্তু কেউ নিজের মত প্রকাশ করতে পারবেন না? নিজের মতো করে রাজনীতি করতে পারবেন না? এ হতে পারে না। দয়া করে পার্টি অফিসের তালা খুলে দিন”। বিধায়ক বলেন, “এসবে কর্ণপাত করেননি বিজেপি–র নেতারা। কিন্তু অবশেষে আমরা তিনটি পার্টি অফিসের তালা খুলতে পেরেছি”। স্থানীয় তৃণমূল নেতা–কর্মীরা ভেতরে ঢুকে সব সাফসুতোর করে বসেন। দলের কর্মসূচি শুরু হয়। ভেতরে চেয়ার টেবিল সব ভাঙা ছিল।