বিকাল তখন চারটে-চারটে। এই সময়টা হাঁফ ফেলার সময় থাকেনা চা দোকানিদের। ক্রেতাদের লিকার চা, দুধ চা, লেবু চায়ের সঙ্গে বাটার টোস্ট, অমলেট টোস্টের অর্ডারের চোটে কানের পর্দা ও হাত, কারোরই ফুসরত নেই। কিন্তু হঠাৎই এমন কোলাহল থেমে নিস্তব্ধ চা দোকান। নতুন ক্রেতাকে দেখে হতচকিয়ে গেলেন সকলে। বাতানুকূল গাড়ি থামিয়ে সদলবলে রাস্তার ধারের চা দোকানে হাজির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন দীঘা থেকে উদয়পুর যাওয়ার পথে আচমকাই সায়েন্স সিটির সামনে একটি চায়ের দোকানের সামনে গাড়ি দাঁড় করান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দোকানে ঢুকে শুধু চা-ই খেলেন তাই নয়। নিজে হাতে চা বানালেন। সেই চা খাওয়ালেন উপস্থিত ক্রেতাদেরও। নিজেও খেলেন। আর স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর হাতে চা খেয়ে আপ্লুত ক্রেতারা। চা পানের সঙ্গে চলল দোকানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময়। উপস্থিত জনতার অভাব-অভিযোগেরও খোঁজ নেন। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন কিনা সে ব্যাপারেও জানতে চান ক্রেতাদের থেকে। দেন পাশে থাকার আশ্বাসও।
এদিন দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠকের পরে কয়েকজন মন্ত্রী-সাংসদকে নিয়ে হঠাৎ উড়িষ্যা সীমান্ত লাগোয়া দত্তপুর গ্রামে যান মুখ্যমন্ত্রী। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের থেকে অভাব অভিযোগ জানতে চান। গ্রামবাসীদের সমস্ত কথা মন দিয়ে শোনেন তিনি। এর পরে গ্রামে বস্ত্র ও লজেন্স বিতরণ করেন মমতা। এরপরেই সায়েন্স সিটির সামনে একটি চায়ের দোকানে ঢুকে নিজে হাতে চা বানিয়ে তা সকলকে পরিবেশন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
দীঘায় প্রশাসনিক বৈঠকের আগে মৎস্যজীবীদের গ্রামে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাচ্চাদের মধ্যে লজেন্স বিলিও করেন। এবার প্রশাসনিক বৈঠক সেরে উদয়পুর যাওয়ার পথে দোকানে ঢুকে নিজে হাতে চা বানিয়ে সকলকে খাওয়ালেন মমতা। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী, রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখপাধ্যায় প্রমুখ।