ধর্ম। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়নি ধর্মের জন্য। কাশ্মীরের সমস্যাও হচ্ছে ধর্মের জন্য। এমনটাই মনে করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই নিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কাশ্মীর একটা খুব জটিল জায়গা। যেখানে হিন্দু আছে, মুসলিমও আছে। কিন্তু তাঁরা এক সঙ্গে খুব একটা ভাল আছে এমনটা বলতে পারি না’।
এর আগেও দু’বার কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাশে বসিয়ে দাবি করেছিলেন, কাশ্মীর নিয়ে আমেরিকার মধ্যস্থতা চেয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের এমন দাবি উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা বলা হয়, কাশ্মীর সমস্যা দ্বিপাক্ষিক বিষয়। এখানে তৃতীয় পক্ষের কোনও মধ্যস্থতা মেনে নেওয়া হবে না। তার পরেও কাশ্মীর নিয়ে ট্রাম্প মধ্যস্থতার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এ দিন আবারও তিনি সেই ইচ্ছাই প্রকাশ করলেন। এবং আরও এক ধাপ এগিয়ে বললেন, ভারত-পাকিস্তান দু’দেশের সঙ্গেই আমেরিকার সম্পর্ক ভাল। কিন্তু যে জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে এই মুহূর্তে ওই দুই দেশ একে অপরের বন্ধু বলে মনে হচ্ছে না। আর এই সম্পর্কে বাধ সাধছে ধর্ম। আর এটা খুব জটিল বিষয়। তাই ধর্মের এই বিষয়টিকেই আগে ঠিক করা প্রয়োজন বলে মনে করেন ট্রাম্প।
কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। দু’দেশকেই সংযত থাকার পরামর্শ দেন তিনি। ওই দিন নরেন্দ্র মোদী ট্রাম্পকে জানান, কাশ্মীর নিয়ে অহেতুক উত্তেজনা ছড়াচ্ছে পাকিস্তান। ভারতবিরোধী কথাবার্তা বলছে তারা। আর এ সবই দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তির আবহে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। মোদীর সঙ্গে কথা হওয়ার পরই ইমরান খানকে ফোন করেন ট্রাম্প। সে সময় ইমরান ভারতের বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ তোলেন কাশ্মীর নিয়ে। কিন্তু খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। উল্টে ট্রাম্প হুঁশিয়ারির সুরেই তাঁকে এ ব্যাপারে সংযত থাকার পরামর্শ দেন।