শনিবার জোফ্রার একটি ঘাতক বাউন্সার আছড়ে পড়ে স্টিভ স্মিথের ঘাড়ে। আঘাত পাওয়ার পরেই মাঠে শুয়ে পড়েন স্মিথ। প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ককে তখনই ড্রেসিংরুমে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ৪৫ মিনিট বিশ্রাম নেওয়ার পরে ক্রিজে এসে আরও ১২ রান যোগ করে ৯২ রানে আউট হন স্মিথ। কিন্তু সাবলীল ব্যাটিং করতে অসুবিধা হচ্ছিল তাঁর। শনিবার সারা রাত পর্যবেক্ষণের মধ্যে থাকতে হয় স্মিথকে।হাল্কা ঝিমুনি ভাব রয়েছে স্মিথের। সব ঠিক থাকলে তৃতীয় টেস্টে নামতে পারেন তিনি। এই ঘটনার পরেই মুখ খুলেছেন ক্রিকেট দুনিয়ার রথী-মহারথীরা।
সেদিন আহত স্মিথ বাধ্য হন মাঠ ছাড়তে। এর পরেই নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে আর্চারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে ‘রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস’। আহত স্মিথের প্রতি সহানুভূতির হাত না বাড়ানোর জন্যই সমালোচিত হন ২৪ বছর বয়সি স্পিড স্টার। এবার সেই টুইটেরই জবাব দেন যুবরাজ সিংহ।
নিজের স্বভাবচিত ভঙ্গিমায় শোয়েবের টুইটের জবাব দেন যুবরাজ। ২০১১ সালে ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য ছিল যুবরাজ। স্টুয়ার্ট ব্রডকে এক ওভারে হাকানো ছ’টা ছক্কা এখনও সবার স্মৃতিতে উজ্জ্বল। ভারতের অন্যতম সেরা ম্যাচ উইনার হিসেবে তোমাকে সবাই মনে রাখবে।’’ মাঠে শোয়েবের গতি রাতের ঘুম কেড়ে নিত বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যাটসম্যানদের। সেই কথা মনে করিয়ে দিয়েই যুবি বলেন, ‘‘তুমি অবশ্যই বাউন্সারের পর সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিতে। কিন্তু, পরের বলটাই যে আবার তুমি বাউন্সার দেবে, তার ইঙ্গিত দিয়ে রাখতে।’’
মাঠের বাইরে ভালো বন্ধু বলেই পরিচিত শোয়েব ও যুবি। হাসি ঠাট্টা করতে পছন্দ করতেন বাঁ হাতি অলরাউন্ডার। ড্রেসিং রুম জমিয়ে রাখতেন ‘পঞ্জাব দা পুত্তর’। কিছু দিন আগে যুবরাজের অবসরের পরে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেছিলেন শোয়েব। তিনি বলেছিলেন, ‘‘ ক্রিকেটে তোমার অবদান ভোলার নয়।