ডুরান্ড কাপে বুধবার গোকুলম এফসিকে হারাতে পারলে ফাইনালে উঠবে ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগানকে সেমিফাইনালে জিততে হবে রিয়াল কাশ্মীরের বিরুদ্ধে। তবেই ফাইনালে মুখোমুখি হতে পারে দুই প্রধান। অথচ সোমবার বিকেলে ইস্টবেঙ্গলের পাশের মাঠেই প্রস্তুতি সারল গোকুলম।
মোহনবাগান শিবিরে তাঁর রণনীতি ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় শেষ মুহূর্তে অনুশীলনের সময় বদলে ফেলেছিলেন আলেহান্দ্রো মেনেন্দেস গার্সিয়া। সকালের বদলে সোমবার দুপুরে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সংলগ্ন মাঠে খাইমে সান্তোস কোলাদোদের নিয়ে নেমে পড়েন। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না লাল-হলুদ কোচের।
কেরালার দলটির কোচ ফার্নান্দো আন্দেস ভালেরাও স্পেনের। প্রস্তুতি শুরু করার আগে ড্রেসিংরুমের বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখলেন স্বদেশীয় আলেহান্দ্রোর অনুশীলনে বোরখা গোমেস পেরেস, কোলাদো, বিদ্যাসাগর সিংহেরা কী করছেন। লাল-হলুদ কোচের অবস্থা অনেকটা এরকম, এক শত্রুকে এড়াতে গিয়ে আর এক শত্রুর নজরদারির সামনে এসে পড়লেন!
লাল-হলুদ শিবিরের তরফে জানানো হয়েছিল, এ দিন বিকেল তিনটে থেকে অনুশীলন শুরু হবে। অথচ দুপুর আড়াইটার মধ্যেই ফুটবলারদের নিয়ে মাঠে নেমে পড়লেন আলেহান্দ্রো। অনুশীলন শুরু করে দিলেন পৌনে তিনটে নাগাদ। তিনিও অর্ধেক মাঠে অনুশীলন ম্যাচ খেলালেন।
গত মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের সফল স্ট্রাইকার এনরিকে এসকুয়েদার বিকল্প হিসেবে মার্কোসকে নেওয়া হয়েছে। দলের প্রয়োজনে মাঝমাঠেও খেলতে পারেন বলে দাবি করলেন তিনি। বললেন, ‘‘আমি স্ট্রাইকার। তবে আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবেও খেলতে পারি। এই মুহূর্তে আমার প্রধান লক্ষ্য দলকে সাহায্য করা।’’
৩৩ বছর বয়সি মায়োরকার ‘বি’ দলের প্রাক্তন স্ট্রাইকার মার্কোসের দাবি, প্রথম দিনেই তিনি মানিয়ে নিয়েছেন। বললেন, ‘‘মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই কলকাতায় এসেছি। এর মধ্যেই অনেকটা মানিয়ে নিতে পেরেছি। কারণ, বোরখা, কোলাদো আমার পরিচিত। তাই কোনও সমস্যা হচ্ছে না। দলের সঙ্গে অনুশীলন শুরু করলেই দ্রুত তৈরি হয়ে যাব।’’