দিল্লী গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেনে সাড়ম্বরে তাঁদের সংবর্ধনা দেবে বলে ঠিক করে বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু তার আগেই তাল কাটল। ঘটল বিপত্তি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নাম থাকলেও আশ্চর্যজনকভাবে বাদ পড়েন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এখান থেকেই শুরু বিতর্কের। পরে অবশ্য বঙ্গ বিজেপি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বৈশাখীর নাম জোড়েন। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গেছে। ‘অপমানিত’ বৈশাখী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, গরু মেরে জুতো দান করছে ওরা। যাবই না অনুষ্ঠানে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাঁর নাম নেই, এ খবর জানার পরেই বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেডের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় নেতাদের ফোন করেন বৈশাখী। পাল্টা ফোন আসে রাজ্য বিজেপির নেতাদের কাছে। কেন্দ্রীয় নেতারা প্রশ্ন করেন, কেন বাদ পড়েছে বৈশাখীর নাম? এরপর অবশ্য সংবর্ধনা তালিকায় যোগ হয় বৈশাখীর নাম। কিন্তু ক্ষুব্ধ, অপমানিত বৈশাখী জবাব দিয়ে দিয়েছেন বিজেপিকে। সূত্রের খবর, যে অনুষ্ঠানে এইভাবে তাঁকে অপমান করা হল সেই অনুষ্ঠানে তিনি যাবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, ৬ নম্বর মুরলিধর সেন লেনে শোভনকে সংবর্ধনা দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত বিজেপি নিয়েছে সেখানে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে শেষ সেময়ে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য যাবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি রাজ্য বিজেপির সঙ্গে শুরু থেকেই দ্বন্দ্বে জড়ালেন শোভন বান্ধবী?
ওয়াকিবহাল মহল জানাচ্ছে, গেরুয়া শিবিরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে বৈশাখীর গুরুত্ব শুধুই শোভনের প্রিয় বান্ধবী হিসাবে। যদিও তা মুখ ফুটে বলার ধৃষ্টতা দেখানোর সাহস নেই কারও। তবে নিজেদের কার্মকাণ্ডে কিন্তু সেটাই এদিন বুঝিয়ে দিল বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেড।