গলে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে রেকর্ড গড়ে জিতল শ্রীলঙ্কা। রবিবারের আগে এখানে ১০০-র বেশি রান তাড়া করে কোনও দল টেস্ট ম্যাচ জিততে পারেনি। ২০১৪ সালে পাকিস্তান ৯৯ রানের টার্গেট দিয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। সেই ম্যাচ জিতে নিয়েছিলেন জয়বর্ধনে-সঙ্গকারারা। এত দিন সেটাই ছিল এই স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে টেস্ট জয়ের রেকর্ড। রবিবার গলে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে নতুন ইতিহাস লিখল শ্রীলঙ্কা। এর আগে গলে এত রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই। গলে চতুর্থ ইনিংসে একশোর বেশি রান তাড়া করে জেতেনি কোনও টিম। যা ঘরের মাঠে করে দেখাল শ্রীলঙ্কা।
প্রথম টেস্টে কিউইদের ২৬৮ রান তাড়া করতে নেমে পঞ্চম ও শেষ দিনে জেতার জন্য শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল ১৩৫ রান। বিনা উইকেটে ১৩৩ রান নিয়ে পঞ্চম দিনে খেলা শুরু করেন দুই ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও লাহিরু থিরিমানে। দিনের শুরুতেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন থিরিমানে (৬৪)। কুশল মেন্ডিস ১০ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। করুনারত্নে টেস্ট কেরিয়ারের নবম সেঞ্চুরিটি করেন এ দিন।
শুধু ব্যাটিংয়েই নয়। শ্রীলঙ্কা বোলাররাও নিজেদের কাজ করেছেন। নিউ জিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে তোলে ২৪৯ রান। একাই পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন ধনঞ্জয়। চার উইকেট পেয়েছিলেন লাকমল। দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেট নেন লাসিথ। কিউয়ি স্পিনার আয়াজ প্যাটেলও প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন। আসলে উপমহাদেশের মাটিতে স্পিনাররাই যে রাজা, এটা আবারও প্রমাণ হল। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার মতো টিমগুলো আজও যে স্পিন সামলাতে হিমশিম খায়, সেটাও প্রমাণ হয়ে গেল গল টেস্টে।
দিনটা ছিল করুণারত্নেরই। এ বছর একটা টেস্ট সেঞ্চুরিও ছিল না তাঁর ব্যাটে। অবশেষে রান পেলেন। সেটাও চতুর্থ ইনিংসে কঠিন পরিস্থিতিতে। ম্যাচের পর তিনি বলেন, ‘আমি বেশ কয়েকটা ম্যাচে সেঞ্চুরি পাইনি। কিন্তু এই টেস্টের আগে সতীর্থদের বলেছিলাম, এই ম্যাচে অবশ্যই একটা সেঞ্চুরি করার চেষ্টা করব। সেটা করতে পেরেছি। রানের জন্য প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত ছিলাম আমি। এই ম্যাচে যে সুযোগটা পেয়েছিলাম, সেটা আর হারাতে চাইনি। এই সেঞ্চুরি আমার আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দিল।’
নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন রান পাননি। প্রথম ইনিংসে রানের খাতাই খুলতে পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসেও তিনি ব্যর্থ (৪)। উইলিয়ামসন মেনে নিলেন, ‘শ্রীলঙ্কা খুব ভালো বল করেছে।’