দিন কয়েক আগেই ‘তিন তালাক বিল’ পাশ করিয়েছে কেন্দ্রের সরকার। অথচ এবার বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশেই স্বামী তিন তালাক দেওয়ার পর থানায় অভিযোগ জানানোয় এক মহিলাকে পুড়িয়ে মারল তাঁর সেই স্বামী এবং পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনাটি ঘটেছে যোগীরাজ্যের শ্রাবস্তীতে। জানা গেছে, স্বামী তাঁকে তিন তালাক দেওয়ায় মহিলার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন ওই মহিলা, এটাই ছিল তাঁর ‘অপরাধ’। পুলিশ তো তাঁর অভিযোগ নেয়নি, উল্টে স্বামীর সঙ্গেই থাকারই পরামর্শ দেয়। পরবর্তী সময়ে বাড়িতেই তাঁকে পুড়িয়ে মারে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাও ৫ বছরের ছোট্ট মেয়ের সামনেই।
নিহতের পরিজনরা জানিয়েছেন, মুম্বই থেকে ফোনে স্ত্রী সইদাকে তিন তালাক দেন তাঁর স্বামী নাসিফ। এরপর গত ৬ আগস্ট পুলিশে এই বিষয়ে অভিযোগ জানাতে যান সইদা। কিন্তু থানায় গিয়ে আখেরে কোনও লাভ হয়নি সইদার। পুলিশ তাঁর কোনও অভিযোগ তো দায়ের করেইনি, উল্টে তাঁকে স্বামীর সঙ্গেই ঘর করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে, গত ১৫ আগস্ট থানায় ডেকে পাঠিয়ে সইদার স্বামী নাসিফকে সতর্ক করা হয়। যদিও পুলিশের পরামর্শে কর্ণপাত করেননি নাসিফ। বাড়ি ফিরে ফের স্ত্রীকে বেরিয়ে যেতে বলেন তিনি। এর পর ফের দুজনের মধ্যে বিতণ্ডা শুরু হয়।
সইদার ছোট্ট মেয়ে পুলিশকে জানিয়েছে, বাড়ির সবাই মিলেই জ্যান্ত পুড়িয়ে মেরেছে তার মাকে। বাবা প্রথমে চুলের মুঠি ধরে মা’কে খাটের ওপর ফেলে। এর পর তার পিসিরা মায়ের গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেয়। শেষে ঠাকুমা নিজে দেশলাই জ্বালিয়ে ছুঁড়ে মারেন মায়ের গায়ে। মূহুর্তের মধ্যেই দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে তার মা, সইদা।
পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পণের দাবিতে বধূ নির্যাতনের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পণের দাবিতে বধূ নির্যাতনের ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকেই গ্রেফতার হয়নি।