গত ৫ আগস্ট সংসদে ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খারিজের ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংখ্যাগরিষ্ঠতার বলে বিল পাশ করিয়ে কাশ্মীর থেকে লাদাখকে বিচ্ছিন্ন করে দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করার ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর তারপর থেকেই স্তব্ধ হয়ে ছিল ভূস্বর্গ। ছিল না টেলিকম আর ইন্টারনেট পরিষেবা। বন্ধ স্কুল-কলেজ-দোকানপাট সমস্ত কিছুই। তবে শনিবার থেকেই অনেকটা স্বাভাবিকের পথে জম্মু-কাশ্মীর। টেলিফোন ও মোবাইল পরিষেবার ওপর কড়াকড়ি শিথিল করা হল অনেকটাই। এদিন সকাল থেকেই জম্মু-কাশ্মীরের পাঁচ জেলায় চালু হল ২জি ইন্টারনেট পরিষেবা। জানা গেছে, জম্মু, রেসাই, সাম্বা, কাঠুয়া এবং উধমপুর জেলায় শনিবার সকাল থেকেই চালু হয়েছে ২জি ইন্টারনেট পরিষেবা। চালু হয়েছে কাশ্মীরের ১৭টি টেলিফোন এক্সচেঞ্জও।
উত্তর কাশ্মীরের গুরেজ, উরি, তাংধার-সহ এলাকায় চলছে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ। দক্ষিণ কাশ্মীরের কাজিগুন্দ এবং পহেলগাঁওয়ে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ স্বাভাবিক করা হয়েছে। নাগরিকদের বসবাসের এলাকা, ক্যান্টনমেন্ট এলাকা এবং শ্রীনগর এয়ারপোর্টের টেলিফোন এক্সচেঞ্জ প্রথম দফায় চালু করা হল। প্রায় ১০০টি টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মধ্যে আপাতত এই ১৭টি চালু করা হলেও শিগগিরই সবগুলিই চালু করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। মধ্য কাশ্মীরের বুদগাম, সোনমার্গ, মনিগামে চালু হয়েছে ল্যান্ডলাইন। শুধু তাই নয়। ইতিমধ্যেই জম্মুতে চালু হয়েছে স্কুল-কলেজ। সূত্র মারফত জানা গেছে, এবার কাশ্মীরেও খুলতে চলেছে সব স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জানা গেছে, আগামী ১৯ আগস্ট কাশ্মীর উপত্যকায় সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।