অবশেষে স্বস্তি। চলতি ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচ জিতেই শেষ চারে পৌঁছলো কিবু ভিকুনার সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। আজ যুবভারতীতে ডুরান্ডের গ্রূপ লিগে ইন্ডিয়ান নেভির বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ ছিল মোহনবাগানের। সপ্তাহ খানেক আগে এই ইন্ডিয়ান নেভিকেই হাফডজন গোলের মালা পরিয়েছিল মহামেডান। কিন্তু সেই দলের বিরুদ্ধে বেশ কষ্ট করেই জিততে হল হেভিওয়েট দল মোহনবাগানকে। নেহাতই নিয়মরক্ষার ম্যাচ বলেই কি দলের এমন পারফরম্যান্স? নাকি বিদেশি বেইতিয়ার অনুপস্থিতি বেশি করে টের পেল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড! ম্যাচ শেষে নিঃসন্দেহে এসব নিয়ে কাঁটাছেড়া হবে।
চোটের কারণে যে বেইতিয়া মাঠের বাইরেই থাকবেন, তা আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কাস্টমস ম্যাচে গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন স্প্যানিশ মিডিও। তবে এদিন দলে ছিলেন না চামোরাও। তাই ফরোয়ার্ডে সুহেরের সঙ্গে খেলেন শুভ ঘোষ। এদিন নেভির ডিফেন্স চিড়তে ব্যর্থ হন বাগান স্ট্রাইকাররা। শুভ দু’বার গোলের সুযোগ পেয়েও তা নষ্ট করেন। দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে আসে গোল। আর এই একটি মাত্র গোল করেই দলের মানরক্ষা করেন ফ্রান গঞ্জালেজ। তবে সেমিফাইনালের আগে চিন্তা বাড়াল কিমকিমার হলুদ কার্ড। ব্রিটোকে ফাউল করলে হলুদ কার্ড দেখেন তিনি।
জানা গেছে, এদিনের রেফারিং নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট নয় বাগান থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। ২১ মিনিটে নেভির বক্সে ফৈয়াজকে ফাউল করা হলেও পেনাল্টি দেননি রেফারি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে সেই ফৈয়াজকে ফাউলের জন্যই পেনাল্টি পায় বাগান। কলকাতা লিগের দুটি ম্যাচে নিজেদের মাঠে পাঁচ পয়েন্ট হারিয়েছেন ভিকুনার ছেলেরা। তবে আপাতত ডুরান্ডের সেমিফাইনালে এই জয়ের ধারাই বজায় রাখতে চাইছেন স্প্যানিশ কোচ। শেষ চারে তাঁদের মুখোমুখি রিয়াল কাশ্মীর। প্রশ্ন এখন একটাই। সেমিফাইনালের আগে বেইতিয়া সুস্থ হয়ে উঠবেন তো? নাকি ফের বেইতিয়া কে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে কিবুর দলকে।