কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, বনগাঁ, হরিণঘাটার পর এ বার নৈহাটি। শনিবার বিজেপি-তে চলে যাওয়া ১০ কাউন্সিলর ফিরে এলেন তৃণমূলে। ফলে নৈহাটি পুরসভা পুনরুদ্ধার করল জোড়াফুল শিবির।
এ দিন তৃণমূলে ফেরা কাউন্সিলরদের পাশে নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘যাঁরা বাংলার মাঠে ঘাটে মানুষের জন্য কাজ করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ নিয়ে চলেছেন, তাঁরা কেউ ওই পরিবেশে গিয়ে পোষাতে পারবেন না’।
এর ফলে নৈহাটি পুরসভার ৩১ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ২৩ জনই তৃণমূলের সঙ্গে আছেন বলে শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়ে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘লোকসভা ভোটের পর তৃণমূল কাউন্সিলরদের ভুল বুঝিয়ে বিজেপিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু সকলেই ভুল বুঝতে পেরে আবার ফিরে এসেছেন৷ এখন ২৩ জন কাউন্সিলরই আমাদের সঙ্গে রয়েছেন৷’ ফলে এবারের মতো নৈহাটি পুরসভার দখল রাখতে সক্ষম হল তৃণমূল৷
মেয়রের অভিযোগ, ‘কারও বাচ্চাকে মেরে, বাড়িতে ভাঙচুর করে বিজেপি-তে নিয়ে গিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সামিল হতে তাঁরা আবার তৃণমূলে ফিরে এসেছেন’।
ভোটের পর থেকে যে ভাবে পুরসভার বোর্ড দখল শুরু করেছিল গেরুয়া বাহিনী, তার গতি দেখে অনেকেই কপাল কুঁচকেছিলেন। কিন্তু তিন মাসের মধ্যেই খেলা ঘোরাতে শুরু করে.দিল তৃণমূল। পর্যবেক্ষকদের মতে, এটা বিজেপি-র কাছে রাজনৈতিক ধাক্কা। তাঁদের কথায়, এ বার অনেকেই মনে করতে পারে বিজেপি দল ভাঙালেও ধরে রাখার ক্ষমতা নেই।