কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গেই আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এই পরিস্থিতিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সমস্ত রকম মোকাবিলা করতে প্রস্তূতি নিচ্ছে নবান্ন৷ আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা চালাচ্ছে নবান্ন।
ইতিমধ্যেই জেলাগুলিকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত বিপর্যয় মোকাবিলা দলও। নবান্নে দফতরের কন্ট্রোলরুম থেকে ২৪ ঘণ্টা পরিস্থিতির উপর নজরদারি রাখা হচ্ছে।
বিপর্যয়ের মোকাবিলায় রয়েছে দিদিকে বলো নম্বরে বিপদে ফোন করার বিশেষ সুযোগ৷ ২৪ ঘণ্টা পরিস্থিতির উপর নজরদারি ৷ কন্ট্রোলরুমের নম্বর (০৩৩) ২২৫৩৫১৮৫ ৷ সমস্যায় পড়লে যোগাযোগ করা যাবে৷
লালবাজার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম সূত্রে খবর, এন্টালি, ঠনঠনিয়া, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, পার্ক স্ট্রিট, এ জে সি বসু রোড, শরৎ বসু রোড, পার্ক সার্কাস, আলিপুর রোড, সাহাপুর রোড, শেক্সপিয়ার সরণি, এম জি রোডে যান চলালচল বিপর্যস্ত। গাড়ি চলছে ধীর গতিতে৷ রাস্তায় যানবাহন কম চলাচল করছে। বাসের সংখ্যাও কম। অটো, ট্যাক্সি দু’-একটি যা চলছে সেগুলি অতিরিক্ত ভাড়া হাঁকাচ্ছে। দমদম বিমানবন্দরের রানওয়ে এবং ট্যাক্সি ওয়েতেও জল জমেছে।
কলকাতা পুরসভা ইতিমধ্যেই কন্ট্রোল রুম খুলেছে। যে সব জায়গায় জলমগ্ন হয়েছে, পাম্পের মাধ্যমে জল সরানোর চেষ্টা চলছে। তবে এক নাগাড়ে যেহেতু বৃষ্টিপাত হয়েই চলেছে, সেই জন্য দ্রুত জল নামানো যাচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন পুরসভার আধিকারিকরা। বৃষ্টি কিছুটা বিরতি দিলে পরিস্থিতি কিছুটা অবস্থার উন্নতি হতে পারে বলে আশা করছেন পুর ইঞ্জিনিয়াররা। দক্ষিণ কলকাতা জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় সকাল এগারোটা নাগাদ বালিগঞ্জ পাম্পিং স্টেশন পরিদর্শন করলেন মেয়র ববি হাকিম৷ সেখান থেকে মোমিনপুর এবং বেহালা পাম্পিং স্টেশন পরিদর্শনে যাবেন তিনি।
দক্ষিণবঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টি হতে পারে ৭০-১১০ মিমি পর্যন্ত। বাংলাদেশ-গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণাবর্তের জেরেই রাজ্যজুড়ে তুমুল বৃষ্টি। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে সক্রিয় মৌসুমি অক্ষরেখা, আজ থেকে উত্তবঙ্গেও বৃষ্টি বাড়বে, রবিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে চলবে বৃষ্টির তাণ্ডবলীলা।