বিশ্বকাপের মত অ্যাশেজেও ভিলেন সেই বৃষ্টিই৷ প্রথমদিনের পর দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন লর্ডসে দাপট দেখাল ঘাতক বৃষ্টি। ডে ওয়ানে যেখানে টস অবধি করা সম্ভব হয়নি, সেখানে তৃতীয়দিন বল গড়াল মাত্র ২৪.১ ওভার। বৃষ্টি থাবা বসানোয় প্রথম সেশনের পর দ্বিতীয় এবং ফাইনাল সেশনে খেলা সম্ভব হল না একটি বলও।
দ্বিতীয়দিন টস জিতে পিচের স্যাঁতসেঁতে অবস্থার ফায়দা নিয়ে ইংল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন অজি দলনায়ক টিম পেইন। দলনায়কের সিদ্ধান্তকে যথাযোগ্য সম্মান দিয়েই প্রতিপক্ষকে প্রথম ইনিংসে দুরমুশ করেছিলেন অজি বোলাররা। প্যাট কামিন্স, জোস হ্যাজেলউড, ন্যাথান লায়নদের দাপটের মাঝেও প্রথম টেস্টে শতরানকারী ররি বার্নস ও জনি বেয়ারস্টোর অর্ধশতরানে কিছুটা লড়াইয়ের রসদ পায় ইংরেজরা। তবে অজি বোলারদের দাপটে প্রথম ইনিংসে কোনক্রমে আড়াইশোর গন্ডি টপকানোর পরেই দাড়ি পড়ে ইংল্যান্ড ইনিংসে।
ইংরেজদের ২৫৮ রানের জবাবে দ্বিতীয়দিনের শেষে ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট খুঁইয়ে ৩০ রানে শেষ করে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয়দিন ইংরেজ বোলারদের প্রত্যাঘাত বনাম স্টিভ স্মিথ নেতৃত্বাধীন অজি ব্যাটিং লাইন আপের দ্বৈরথই ছিল ক্রিকেট অনুরাগীদের প্রতিপাদ্য বিষয়। এদিন অবশ্য ২৪.১ ওভারের বেশি সেই দ্বৈরথ দেখার সৌভাগ্য হল না অনুরাগীদের। যদিও এই সময়কালে ৫০ রানে সফরকারী দলের ৩টি মূল্যবান উইকেট তুলে নেন ইংরেজ পেসাররা। ‘আনলাকি’ থার্টিনে (১৩) ক্যামেরন ব্যানক্রফটকে লেগ বিফোর উইকেট করে অজি শিবিরে দিনের প্রথম ধাক্কাটা দেন অভিষেককারী জোফ্রা আর্চার। একইসঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটে মেডেন উইকেটটি সংগ্রহ করে নেন এই কৃষ্ণাঙ্গ পেসার।