দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন তিনিই। আর শেষপর্যন্ত তাঁর নামেই সিলমোহর বসাল বিসিসিআইয়ের ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটি। বিরাট কোহলিদের হেড কোচ হিসেবে বর্তমান কোচ রবি শাস্ত্রীকেই বেছে নিলেন কপিল দেব, অংশুমান গায়কোয়াড় এবং শান্তা রঙ্গস্বামীরা। মুম্বইয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে শাস্ত্রীর নাম জানিয়ে দেন কপিল দেব ও তাঁর সঙ্গীরা।
শাস্ত্রী-সহ ভারতীয় ক্রিকেট দলের হেড কোচ পদের দৌড়ে ছিলেন আরও ৫ জন। অস্ট্রেলিয়ার টম মুডি, নিউ জিল্যান্ডের মাইক হেসন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল সিমন্স এবং ভারতের রবিন সিং-লালচাঁদ রাজপুত। এদের মধ্য়ে সিমন্সকে শুক্রবারই বাদ দেওয়া হয়।
সাংবাদিক বৈঠকে কপিল দেব জানান, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই থাকলেও টম মুডি ও মাইক হেসনকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যান শাস্ত্রীই। খুবই কম সংখ্যার তফাৎ ছিল। জানা গেছে, অ্যাডভাইজরি কমিটির প্রত্যেকে কোচ পদের প্রার্থীদের প্রেজেন্টেশনের ভিত্তিতে নম্বর দেন। সেই নম্বরেই শাস্ত্রী প্রথম, টম মুডি দ্বিতীয় এবং মাইক হেসন তৃতীয় হন।
তবে কত দিনের জন্য শাস্ত্রীর সঙ্গে হেড কোচ হিসেবে চুক্তি হবে, তা বোর্ডের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন কপিল দেব। রবি শাস্ত্রীর প্রশংসায় প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক বলেন, ‘ও গোটা পদ্ধতি ও টিমের সঙ্গে ওয়াকিবহাল। পুরো সিস্টেমই ভালো মতো জানে। অন্যদের দায়িত্ব দেওয়া মানে নতুন করে শুরু করতে হত।’ প্রশ্ন উঠেছিল বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের পারফরম্যান্সের পরে শাস্ত্রীকেই কোচ রাখা নিয়ে। জবাবে কপিল দেব বলেন, ‘সিরিজ হারলেই কাউকে এভাবে বের করে দেওয়া উচিত নয়।’
শাস্ত্রীর সহযোগী হিসেবে কাদের নিয়োগ করা হবে, সেই দায়িত্বও বোর্ডের উপরই ছেড়ে দিয়েছেন কপিল দেব। তবে সূত্রের খবর, রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে বোলিং কোচ হিসেবে ভরত অরুণ, ব্যাটিং কোচ বিক্রিম রাঠৌর এবং ফিল্ডিং কোচ হিসেবে জন্টি রোডসকে দেখা যেতে পারে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে উড়ে যাওয়ার আগে রবি শাস্ত্রীকেই ফের কোচ দেখতে চেয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। সেই প্রসঙ্গে কপিল দেব জানান, ‘অধিনায়কের মত নেওয়া হয়নি। তা নেওয়া হলে শুধু অধিনায়ক নন, গোটা টিমের সঙ্গেই কথা বলা হত।’ কোচ বাছাইয়ের পুরো প্রক্রিয়াই ‘অত্যন্ত স্বচ্ছ’ ছিল বলে জানিয়েছেন অ্যাডভাইসরি কমিটির সদস্য অংশুমান গায়কোয়াড়।