বেশি নয়, বয়স মাত্র ৯। তবে চোখ ভরা স্বপ্ন, স্বপ্ন পাহাড় চড়ার। মাত্র ৯ বছর বয়সে মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো জয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে অদ্বৈত ভারতী। মাত্র সাত দিনে কিলিমাঞ্জারো জয় করেছে পুণের শিশুটি। পায়ে হেঁটে। টানা দু’মাস কঠোর পরিশ্রম করেছে অদ্বৈত। শরীর ফিট রাখার জন্য প্রতিদিন এক ঘণ্টা অদ্বৈত সাঁতার কাটে। ক্রিকেট কিংবা ফুটবলও খেলে। টেনিসের প্রতিও প্রেম রয়েছে এই খুদের। মাত্র ৬ বছর বয়সে এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে উঠে সবাইকে চমকে দিয়েছিল অদ্বৈত। কিলিমাঞ্জারো জয় করার পর আবারও পায়ে হেঁটে শৃঙ্গ জয়ের ইচ্ছা রয়েছে অদ্বৈত–র। এবার তাঁর লক্ষ্য ইউরোপের মাউন্ট এলব্রুস।
অল্পবয়স থেকেই অদ্বৈত–র মায়ের নেশা ছিল পাহাড়ে চড়ার। মায়ের মুখ থেকেই পাহাড় সম্পর্কে নানা খুঁটিনাটি বিষয় জানতে পারে অদ্বৈত। ধীরে ধীরে তৈরি হয় পাহাড়ের প্রতি ভালবাসা। কয়েকমাস আগে মা ও ছেলে ঠিক করেন পাহাড় চূড়ায় উঠবেন। শুরু হয় অদ্বৈত–র প্রশিক্ষণ। গত জুলাইয়ে আফ্রিকার তানজানিয়া প্রদেশের মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো শৃঙ্গের উদ্দেশে বেড়িয়ে পড়েন মা ও ছেলে। প্রশিক্ষক সমীর পাঠমের হাত ধরে পাহাড়ের চূড়ার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে অদ্বৈত ও তাঁর মা। তবে ১০০০ ফুট ওঠার পর অদ্বৈত–র মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখানেই থেমে যান তিনি। খুদে একাই প্রশিক্ষকের হাত ধরে এগিয়ে যেতে থাকে।
মাত্র সাত দিনের মধ্যে গত ৩১ জুলাই কিলিমাঞ্জারোর শীর্ষে পৌঁছে যায় অদ্বৈত। সে জানিয়েছে, “পায়ে হেঁটে পাহাড়ে ওঠা খুব কষ্টকর। তবে মজা পেয়েছি। আমি আরও আগে কিলিমাঞ্জারোর শীর্ষে পৌঁছে যেতে পারতাম। কিন্তু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করব বলে বারবার থেমে গিয়েছি। চারদিক দেখছিলাম। এভারেস্ট বেসক্যাম্পে পৌঁছানোর পর আমরা কাঠের বাড়িতে ছিলাম। কিলিমাঞ্জারোর শীর্ষে ওঠার পর আমরা তাঁবু খাটিয়ে বিশ্রাম নিয়েছি। বরফে ঢাকা ছিল চারদিক। খুব ভাল লেগেছে”।