শাড়ি, গয়না বানিয়ে গ্রামীণ কুটিরশিল্পের বিকাশ ঘটিয়ে স্বনির্ভর হোন৷ শুক্রবার নবান্ন সভাঘরে ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প দপ্তরের অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে এমনই পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পে আরও মহিলাদের যোগদানের কথা বলেন তিনি৷ দেশজুড়ে আর্থিক মন্দার কথা উল্লেখ করে তাঁর আরও বক্তব্য, ‘যেখানে কারখানাগুলি একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সেখানে গ্রামীণ শিল্পে এই মুহূর্তে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি প্রয়োজন’৷
শুক্রবার নবান্ন সভাঘরে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প দপ্তরের অনুষ্ঠানের সূচনা হয়৷ সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগেকার দিনে মহিলারা ভারী শাড়ি পরতেন৷ কিন্তু এখন সবাই হালকা পোশাক পরতে পছন্দ করেন৷ শাড়ির ভার যত কমবে, ততই তা জনপ্রিয়৷ যেমন হ্যান্ডলুম৷ তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের সুতোয় আজকাল শাড়ি বোনা হচ্ছে৷ সবাই এধরনের শাড়ি পরতে পারেন৷ তাই এসব দিকে আরও বেশি কাজ যাতে হয়, নজর রাখতে হবে৷ এই কাজে আরও জোর দিতে হবে৷’
কাজের পদ্ধতি নিয়েও এদিন বেশ কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর সাফ কথা, ‘কাজ করতে গেলে সমস্যা হবে৷ দ্রুত তার সমাধানও করতে হবে৷ ফেলে যেন না রাখা হয়৷ এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেমে কাজ করা সুবিধাজনক৷ তাই দ্রুত সেই পদ্ধতিতেই কাজ শুরু হোক, এমনই পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর৷
কলকারখানায় শ্রমিক আন্দোলন নিয়েও এদিন কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর কথায়, ‘কথায় কথায় ঝান্ডা হাতে কারখানার সামনে বসে বিক্ষোভ করার পক্ষপাতী আমি নই৷ কারখানাও চলবে, সেইসঙ্গে শ্রমিক সমস্যা থাকলে তারও সমাধান করে দেওয়া হবে৷ কিন্তু সবসময় কর্মবিরতি ডেকে বিক্ষোভ বরদাস্ত নয়৷’ এরপর নাম না করে বিজেপিকেও বিঁধেছেন তিনি৷ বলেন, ‘অশান্তি বা ধর্মের ভিত্তিতে ভাগাভাগির প্রতিযোগিতায় নয়৷ আসুন, কাজের প্রতিযোগিতায় নামুন৷’