মূল্যবৃদ্ধি অনেকখানি নীচে নামলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার জো নেই। কারণ, আশঙ্কা করা হচ্ছে, মূল্যবৃদ্ধি কমছে মূলত চাহিদায় টানের কারণে।
কেন্দ্রের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার কমে দাঁড়িয়েছে ১.০৮ শতাংশ। গত ২৫ মাসের মধ্যে যা সব থেকে কম। এর আগে ২০১৭ সালের জুনে তা ০.৯ শতাংশে নেমেছিল।
এমনিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার ঠিক করে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার দেখে। কিন্তু সেই মূল্যবৃদ্ধির কিছুটা ছাপ স্বাভাবিক ভাবেই ধরা পড়ে সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির পরিসংখ্যানে। ফলে তা নিয়ন্ত্রণে থাকলে তেমন অখুশি হওয়ার কথা নয় কেন্দ্র কিংবা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। কিন্তু বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, খুঁটিয়ে দেখলে বোঝা যাবে এ বার সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার আদতে কমেছে কল-কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ধাক্কা খাওয়ার জেরে। গত মাসে যা বেড়েছে মাত্র ০.৩৪ শতাংশ। জুনেও সেই হার ছিল ০.৯৪ শতাংশ। উৎপাদিত পণ্যের এই মলিন পরিসংখ্যানই সামগ্রিক ভাবে দেশে এই মুহূর্তে চাহিদায় ভাটার ছবিটা স্পষ্ট করেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে গাড়ি শিল্পের বর্তমান অবস্থা। এমনিতেই তার চাহিদা তলানিতে ঠেকায় বহু লক্ষ মানুষের চাকরি সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে। তার উপরে কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের এক বড় অংশ গাড়ি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। এখন তার চাহিদায় এমন ভাটার টান থাকলে অর্থনীতির সঙ্কট গভীর হওয়ার সম্ভাবনা। প্রশ্ন উঠছে, যদি কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা এমন কম হয়, তা হলে মূলধনের খরচ কমলেও লগ্নীতে কেউ উৎসাহী হবে কি?