কল্যাণীতে তৈরি হচ্ছে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস বা এইমসের নতুন ক্যাম্পাস৷ এইমস তৈরি হলে বদলে যাবে কল্যাণীর চেহারা৷ উপকৃত হবেন আরও বহু সংখ্যক মানুষ৷ এইমসকে ঘিরে কল্যাণীতে উন্নয়নের জোয়ার আনছে মমতা সরকার৷ এইমস ক্যাম্পাসকে কেন্দ্র করে রাস্তা, সেতু-সহ পরিবহণ পরিকাঠামো উন্নয়নে হাত দিয়েছে রাজ্যের হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন বা সড়ক উন্নয়ন নিগম।
এইমস তৈরী হলে এই আধুনিক হাসপাতালে আসবেন প্রচুর রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়স্বজন। বাড়বে গাড়ি চলাচল। তাই সেই চাপ সামাল দিতেই আগে থেকে প্রস্তুতি চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। নিগমের তত্ত্বাবধানে তৈরি হচ্ছে চার লেনের রাস্তা, উড়ালপুল, সেতু। খরচ হবে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা।
রাজ্য সড়ক নিগমের চেয়ারম্যান, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুব্রত বক্সী মনে করেন, এমসকে কেন্দ্র করে সড়ক পরিকাঠামো প্রকল্পের সফল রূপায়ণ এলাকার ছবিটাই পাল্টে দেবে। এক কর্তা জানান, কল্যাণী থেকে ব্যারাকপুর এক্সপ্রেসওয়ে চার লেন করার টেন্ডার বা দরপত্র ডাকা হয়েছে। খরচ ধরা হয়েছে ১৩০০ কোটি টাকা। মগরা এবং আদিসপ্তগ্রামে নতুন দু’টি উড়ালপুল তৈরি করা হচ্ছে। তাতে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা।
রাজ্য সড়ক নিগমের এক কর্তা জানান, উত্তরবঙ্গ থেকে ডানকুনি বা হলদিয়ায় পৌঁছতে হলে এখন মোরগ্রাম থেকে বীরভূম দিয়ে বর্ধমান ছুঁয়ে যেতে হয়। উত্তর ২৪ পরগনার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে বড়জাগুলি থেকে ভায়া কম্পা হয়ে সোজা মগরা যাওয়ার জন্য চার লেনের রাস্তা তৈরি হচ্ছে। এই রাস্তা হলে বারাসত ও কলকাতাকে পাশ কাটিয়ে ডানকুনি হয়ে হলদিয়া যাওয়া যাবে। গাড়ির চাপ কমবে মহানগরে।
সূত্রের খবর, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েকে যুক্ত করতে একটি এলিভেটেড রোড তৈরির প্রস্তুতি চলছে। এই খাতে খরচ ধরা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। চলতি বছরেই টেন্ডার ডেকে কাজ শুরু হবে।
কল্যাণীতে একটি সেতু-সহ রাস্তা তৈরিতে ১৪০০ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে বলে নিগম সূত্রের খবর। দরপত্রের প্রক্রিয়া চলছে। চাকদহ থেকে বনগাঁ যাওয়ার রাস্তা চার লেন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তা তৈরিতে খরচ ধরা হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা। দরপত্রের প্রস্তুতি চলছে। পুজোর পরেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।