গতবছর থেকে আসামে এনআরসি চালু করেছে বিজেপি সরকার। সেখানে প্রশাসনিক গলদে নাম বাদ গেছে অনেকেরই। আর যার ফলে শুরু হয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। তবে এনআরসিতে নাম না থাকলেও কোনওরকম প্রতিবাদ করা যাবে না। এবার বিক্ষোভ রুখতে কড়া পুলিশি বন্দোবস্ত করছে আসাম সরকার। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে বাড়তি আধাসেনা চেয়ে এসেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। নিজেই টুইট করে সর্বানন্দ জানিয়েছেন, এনআরসির ক্ষোভ দমাতে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। অর্থাৎ আসামেও কাশ্মীরের মতোই আধাসেনা দিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ দমাতে বিজেপি বদ্ধপরিকর।
৩১ আগস্টের মধ্যে প্রকাশিত হবে আসামের বহুলচর্চিত এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা। ৩ কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৪ জন আবেদনকারীর মধ্যে চূড়ান্ত খসড়ায় নাম নেই ৪০ লাখ ৭০ হাজার ৭০৭ জনের। পরে আরও ২ লাখেরও বেশি নাম বাদ পড়ে অতিরিক্ত তালিকা থেকে। সংযোজন ও সংশোধনের পরও ৫ লাখেরও বেশি নাগরিকের নাম বাদ এখন সময়ের অপেক্ষা। মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, সময় আর বাড়ানো হবে না। অর্থাৎ ৩১ আগস্টের মধ্যেই তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
আর জনগণের ক্ষোভ সেনা বা আধাসেনাদের দিয়েই দমাতে ব্যস্ত রাজ্য সরকার। বাড়তি আধাসেনা মোতায়েন নিয়ে রাজ্য সরকারের দিল্লিতে দরবার নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। আসাম রাজ্য নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতি (সিআরপিসিসি)–র চেয়ারম্যান তপোধীর ভট্টাচার্যের মতে, কাশ্মীরের মতোই সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। আধাসেনা দিয়ে ঔপনিবেশিকদের কায়দায় অগণতান্ত্রিক ও অশোভনীয় পথে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার।