রাজ্যের সীমা ছাড়িয়ে দেশ, এমনকী আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও প্রশংসিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প। জিতে নিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ডে প্রথম পুরষ্কার। ২০১৩ সালের ১৪ আগস্ট পথ চলা শুরু হয়েছিল ‘কন্যাশ্রী’র। আজ বুধবার বিশ্ববন্দিত এই প্রকল্পের জন্মবার্ষিকী।
এদিন সকালে ‘কন্যাশ্রী’র ষষ্ঠ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একটি পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আজ কন্যাশ্রী দিবস, বাংলার এক গর্বের দিন। কন্যাশ্রী প্রকল্পটি চালু হয় ২০১৩ সালে, এবং এরপর জিতে নেয় রাষ্ট্রপুঞ্জের ফার্স্ট প্রাইজ পুরস্কার। মেয়েরা আমাদের রাজ্যের, দেশের এবং সারা বিশ্বের সম্পদ। কন্যাশ্রী স্কলারশিপের মাধ্যমে মেয়েরা স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে গেছে। তারা স্বাবলম্বী নাগরিক তৈরী হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৭০০০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে ৬০ লক্ষেরও বেশি মেয়ের ক্ষমতায়ন করেছে এই প্রকল্প’।
রাজ্যের নারী শিক্ষার নিশ্চিতকরণ ও প্রসারের জন্য ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি হিসাব মতে, এই মুহূর্তে প্রায় ৬০ লাখ ছাত্রী কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। শুধু স্কুল ছাত্রীরাই নয়, এখন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদেরও ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চাকরির বাজারে উপযুক্ত করে তুলতেও ‘কন্যাশ্রী’র মেয়েদের স্কিল ট্রেনিংয়েরও ব্যবস্থা করেছেন মমতা।