খেলা শেষ হতে তখন নির্ধারিত সময়ের ঠিক ২ মিনিট বাকি। আর সেইসময়েই ঘটল অঘটন। খেলার ৮৮ মিনিটে কর্ণার থেকে ফিলিপসের জোরালো হেড কোনোক্রমে বাগান গোলরক্ষক বাঁচালেও ফিরতি বলে গোল করেন কাস্টমস প্লেয়ার স্ট্যানলি। আর তারপরেই চুপ করে গেল সবুজ-মেরুন গ্যালারি। কাস্টমসের কাছেও যে আটকে যেতে হবে, তা স্বপ্নেও ভাবেননি বাগান সমর্থকরা। ডুরান্ড কাপে জয়ের ধারা অব্যাহত থাকলেও ঘরোয়া লিগে এখনও জয়ের মুখ দেখতে পারল না মোহনবাগান। পিয়ারলেসের কাছে হারের পর কাস্টমসের সঙ্গে ড্র করল কিবু ভিকুনার দল।
ঘরোয়া লিগের প্রথম ম্যাচে পিয়ারলেসের কাছে লজ্জার হারের পর অনেক সমালোচনা হয়েছিল গোলরক্ষক শিল্টন পালের আউটিং নিয়ে। তাই দ্বিতীয় ম্যাচে তেকাঠির নীচে দাঁড়িয়েছিলেন শঙ্কর রায়। আর কোচ কিবু ভিকুনার সিদ্ধান্ত যে সঠিক তা প্রতি মুহূর্তে প্রমাণ করলেন তরুণ শঙ্কর। গোলের নীচে এ দিন তিনি ছিলেন দুর্ভেদ্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডিফেন্ডারদের দোষেই গোল খেতে হলো বাগানকে।
এ দিন শুরু থেকেই আক্রমণ করতে থাকে সেবুজ-মেরুন ব্রিগেড। শুরুর দিকেই কয়েকটি সুযোগ পান চামোরা, কিন্তু গোল আসেনি। গোলের জন্য মোহনবাগানকে অপেক্ষা করতে হলো ২১ মিনিট পর্যন্ত। বেইতিয়ার ফ্রিকিক থেকে চামোরার হেড দারুণ বাঁচান কাস্টমসের গোলকিপার শুভম। কিন্তু ফিরতি বলে টপ বক্স থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে জাল কাঁপিয়ে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন ডিফেন্ডার ফ্রান্সিসকো গঞ্জালেজ।
গোল খাওয়ার পরেই কাস্টমসের কোচ নামান স্ট্রাইকার ফিলিপ্সকে। সেটাই হয়ে যায় টার্নিং পয়েন্ট। বদলে যায় কাস্টমসের খেলা। ৩৮ মিনিটের মাথায় ফিলিপ্সের ডান পায়ের শট প্রতিহত হয় শঙ্করের হাতে। প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। ১-০ এগিয়েই ড্রেসিংরুমে যায় দু’দল।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও বেশি করে আক্রমণে ওঠে কাস্টমস। স্ট্যানলি, ফিলিপ্স, সুমিতরা মাঝেমধ্যেই ত্রাসের সৃষ্টি করছিলেন বাগান গোলের সামনে। ৫৪ মিনিটে সুমিত ঘোষের শট একটুর জন্য বাইরে বেরিয়ে যায়। তারপরেই খারাপ সময় আসে বাগানের। ৬২ মিনিটের মাথায় ফিলিপ্সকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন কিমকিমা। ৬৫ মিনিটে স্ট্যানলির ফ্রিকিক দুরন্ত বাঁচান শঙ্কর।
১০ জনের বাগানের বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে কাস্টমস। তারমধ্যেই ৮৩ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন কাস্টমসের দেবায়ন সাহা। কিন্তু তারপরেই অঘটন। ৮৮ মিনিটে কর্নার থেকে ফিলিপ্সের জোরালো হেড শঙ্কর বাঁচালেও ফিরতি বলে গোল করে যান স্ট্যানলি। সমতা ফেরায় কাস্টমস। বাকি সময়ে অনেক চেষ্টা করলেও গোল করতে পারেনি মোহনবাগান। ফলে দু’ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো বাগান সমর্থকদের।