বাঙালির মন বিষন্ন। কারণ শেষ শ্রাবণেও পাতে পড়ছে না ইলিশ। চাহিদা থাকলেও জোগান নেই ইলিশের। তাই ভরা মরশুমে ইলিশের দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে। মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে এই মরশুমের ইলিশ। প্রতি বছর এই সময় রাজ্যের বিভিন্ন মাছের বাজারগুলোতে ইলিশের ঝিলিকে ভরে উঠলেও এবার পর্যাপ্ত মাছ না থাকায় কমছে না দাম। বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদার সঙ্গে ভারসাম্য রেখে জোগান না থাকায় বাজারে ইলিশের দাম চড়া। বর্ষা–সঙ্কটে এবার শুরু থেকেই ইলিশের অভাবে ধুঁকছে মাছের বাজারগুলো৷
দুর্যোগ কাটিয়ে ৯ আগস্ট থেকে নতুন করে লঞ্চ–ট্রলার ভাসিয়েছিলেন কিছু মৎস্যজীবী। দুর্যোগের পূর্বাভাস পেয়ে আবার সোমবার রাতের মধ্যে ফিরে এসেছেন তাঁরা। আর তাঁদেরই জালে উঠেছে এই ১০ টন ইলিশ। মৎস্যজীবীরা বলেন, “নামেই যেন বর্ষার মরশুম। বৃষ্টির দেখা নেই। তাই ইলিশ মাছের তেমন আনাগোনা দেখা যাচ্ছে না”।
হিমঘরের ইলিশ দিয়ে কি আর বাঙালির মন ভরে! তাজা ইলিশের স্বাদ না পেয়ে মনও ছিল খুঁতখুঁতে৷ আর এখন তাজা ইলিশ বাজারে এলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে তার দাম। মঙ্গলবার দিঘা মোহনার মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে উঠেছে ১০ টন ইলিশ। লঞ্চ–ট্রলার থেকে নামানো টাটকা ইলিশ পাওয়া যায় রাজ্যের বড় এই আড়তে। একটু দামাদামি করে পাইকারদের পাশাপাশি খুচরা বিক্রেতারাও কিনে নেন ইলিশ। কিন্তু এদিন টাটকা ইলিশের স্বাদ নিতে মাছ কিনতে এসে অনেক ভোজনবিলাসীকে দামের কারণে ফিরে যেতে হয়েছে। এদিন খুব ছোট অর্থাৎ ৪০০–৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম ছিল ৬০০–৭০০ টাকা। আর তার চেয়ে একটু বড় ইলিশের দাম ছিল ১০০০–১২০০ টাকা। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে খুচরো বাজারগুলোতেও।