বাংলার মানুষ যাতে তাঁদের নিজেদের কথা নির্দ্বিধায় জানাতে পারেন তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করেছেন নতুন কর্মসূচী, ‘দিদিকে বলো’। শুরু থেকেই মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছে এই কর্মসূচী। এক ফোনেই হচ্ছে সমস্যার সমাধান। এবার ‘দিদিকে বলো’র ফোন নম্বরে ফোন করতেই তৎপরতার সঙ্গে শুরু হল এক অসুস্থ মহিলার চিকিৎসা।
নদিয়া জেলার করিমপুর আনন্দপল্লির বাসিন্দা ওই মহিলার নাম স্বপ্না সাহা। মানসিক সমস্যা হওয়ায় গত ৯আগস্ট রাতে করিমপুর হাসপাতাল থেকে স্বপ্না সাহাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে রেফার করা হয়। ১০আগস্ট ভোর তিনটে নাগাদ তাঁকে হাসপাতালের ফিমেল মেডিক্যাল ওয়ার্ডের এক্স-৮ বেডে ভর্তি করা হয়। স্বপ্নাদেবীর ছেলে সায়ন সাহা বলেন, মা চিৎকার করছিল, হাত-পা ছোঁড়াছুঁড়ি করায় বেডে বেঁধে রাখা হয়েছিল। মুখ বাঁধা অবস্থায় চিৎকারের চেষ্টা করায় মায়ের মুখ দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ে। কিন্তু কোনও কারণবশত চিকিৎসা শুরু হতে কিছুটা দেরি হয়, তাই আর কালবিলম্ব না করে তাঁর বাড়ির লোকজন ফোন করেন দিদিকে।
সেই ফোনেই সমাধান হয় সব কিছুর। স্বপ্নাদেবীর পরিবারের দাবি, কিছুক্ষণের মধ্যেই চিকিংসকদের মধ্যে অস্বাভাবিক তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। দুই চিকিৎসকের মেডিক্যাল টিম দু’ঘণ্টার চেষ্টায় রোগীকে অনেকটা স্বাভাবিক করে তোলেন। পরদিন সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ায় স্বপ্নাদেবীকে ছেড়েও দেওয়া হয়। বর্তমানে করিমপুরের বাড়িতে স্বাভাবিক রয়েছেন বলেই দাবি পরিবারের।
সুস্থ হওয়া মহিলার এক আত্মীয়ের দাবি, অনেককে বলতে শুনেছি, দিদিকে বলো নম্বরে ফোন করে পাওয়া যায় না। কিন্তু আমরা হাতেনাতে ফল পেয়েছি, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। নদীয়া জেলার করিমপুর আনন্দপল্লির বাসিন্দা ওই মহিলার নাম স্বপ্না সাহা। স্বপ্নাদেবীর স্বামী সুশান্ত সাহা বলেন, স্ত্রী এখন সুস্থ আছে। বাড়ির কাজও করছে।