বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে মোদী সরকারের বাজেটে যেমন তেমন কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। ঠিক তেমনই চাহিদার মানোন্নয়নেও কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে পারেনি কেন্দ্র। আর এই দুয়ের মিলনের ফলে ক্রমেই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে ভারতের সবরকমের শিল্পকেই। এবার যেমন অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাসে (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) আবাসন শিল্পের হাল বোঝাতে নির্মাতারা একটি শব্দই ব্যবহার করছেন, ‘হতাশাজনক’।
তলানিতে ঠেকা চাহিদা, অবিক্রিত ফ্ল্যাট, ঋণের বোঝা ও নতুন পুঁজির অভাবে বহু দিন ধরে নাজেহাল আবাসন শিল্প। অফিস বাড়ির অবস্থা তুলনায় ভাল হলেও, থাকার জন্য ফ্ল্যাট-বাড়ি কেনার চাহিদা পড়তির দিকে। যা চিন্তা বাড়াচ্ছে আরও। আর তারই ছবি ফুটে উঠেছে নাইট ফ্র্যাঙ্ক-ফিকি-নারেডকোর ‘রিয়েল এস্টেট সেন্টিমেন্ট ইন্ডেক্স কিউ টু ২০১৯’ সমীক্ষায়। যেখানে ৭৪ শতাংশ উত্তরদাতাই জানিয়েছেন, ছ’মাসে অর্থনীতির হাল ভাল হওয়ার আশা নেই। বরং তা আরও খারাপ হতে পারে। ছবি মলিন হতে পারে আবাসনেও।
সমীক্ষা বলছে, আবাসনে আস্থা সূচক দাঁড়িয়েছে ৪৭ অঙ্কে। আগামী ছ’মাসে তা হবে ৫২। উত্তর (৪২) ও পশ্চিম ভারতের (৫২) হাল সব চেয়ে খারাপ। বরং তা কিছুটা ভাল দক্ষিণ (৬১) ও পূর্বে (৫৬)। যার কারণ কম দামি আবাসন। যদিও দেশ জুড়ে সাড়ে চার লক্ষের বেশি অবিক্রিত ফ্ল্যাটের সংখ্যার নিরিখে দক্ষিণ ও পূর্বের পরিস্থিতিও ভাল নয়। সব মিলিয়ে প্রকট হয়ে উঠছে আবাসন শিল্পের বেহাল দশার ছবি।