দ্বিতীয় মোদী সরকারের প্রথম বাজেট ঘোষণার দিনই ধস নেমেছিল শেয়ার বাজারে। আর ঠিক তারপরের সপ্তাহেই আরও ভয়াবহ চেহারা নিয়ে তা রীতিমতো ঝাঁকুনি দিয়েছিল লগ্নিকারীদের। সেই পতনের বহর ছিল ৭৯২.৮২ পয়েন্ট। যা শেয়ার বাজারে বছরের বৃহত্তম পতন। তবে মোদী সরকারের গালভরা দাবি, আশ্বাস আর ঘোষণার পর আবারও টালমাটাল দেশের অর্থনীতি। মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে বিশাল পতন ঘটেছে। ডলারের তুলনায় পড়েছে টাকার দাম। ব্যক্তিগত যাত্রীবাহী গাড়ি শিল্পে ৩১ শতাংশ পতন ঘটেছে। ফলে গাড়ি শিল্পে চাকরি হারাতে পারেন প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ।
এদিন দিনের শেষে ৬২৩.৭৫ পয়েন্ট বা ১.৬৬ শতাংশ পড়ে সেনসেক্স সূচক দাঁড়িয়েছে ৩৬৯৫৮.১৬ পয়েন্টে। নিফটির সূচক ১৮৩.৮০ বা ১.৬৫ শতাংশ পড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৯২৫.৮৫ পয়েন্টে। ইয়েস ব্যাঙ্ক, বাজাজ ফিনান্স, মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রা, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া, ইনফোসিসের মতো বড় কোম্পানিগুলির শেয়ার পড়ে গিয়েছে ৫-১০ শতাংশের আশেপাশে। শুধু মুকেশ আম্বানির সোমবারের ঘোষণার পর রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড বা আরআইএল-এর শেয়ারই ১০ শতাংশ বেড়েছে।
টাকার দাম মঙ্গলবার দিনভর ডলারের তুলনায় কম ছিল। এদিন দিনের শুরুতে বাজার খোলার সময়েই ডলারের তুলনায় ৪৮ পয়সা কম ছিল টাকার দাম। ফলে দিনের শুরুতে ডলার প্রতি টাকার দাম ছিল ৭১.২৬ টাকা। বাজার বন্ধ হওয়ার সময় তা আরও পড়ে ডলার প্রতি টাকার দাম দাঁড়ায় ৭১.২৯ টাকা। যা গত ছয় মাসের মধ্যে সব থেকে বড় পতন টাকার দামে। প্রসঙ্গত, এবার বাজেটে অতি ধনী, অবিভক্ত হিন্দু পরিবার এবং ট্রাস্ট-সহ ব্যক্তি সমষ্টির সংগঠনের (অ্যাসোসিয়েশন অব পার্সনস) ক্ষেত্রে আয়করে সারচার্জের হার উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। ভারতের বাজারে লগ্নী করা বিদেশি ট্রাস্ট, পেনশন ফান্ডও এর আওতায় পড়ে। বাজার সূত্রের খবর, আবারও এই সবেরই নেতিবাচক প্রভাব পড়ল সূচকের ওপরে।