জল্পনা আগেই ছিল। এবার বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসল নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে প্রথম বৈঠক করল কমিশন। বৈঠকে ছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা, নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা, কমিশনার সুশীল চন্দ্রা।
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপ করেছে কেন্দ্র। পাশাপাশি দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে রাজ্যটিকে। একটি জম্মু ও কাশ্মীর এবং অন্যটি লাদাখ। জম্মু ও কাশ্মীরে থাকছে বিধানসভা। লাদাখে কোনও বিধানসভা থাকছে না। তবে এই বিভাজনের আগে থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা আসন পুনর্বিন্যাস কথা ভাবছিল কেন্দ্রে। এবার তাই নিয়ে উদ্যোগ শুরু হল।
অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় সরকারও এনিয়ে তৎপর। সূত্রের দাবি, অমিত শাহের এই ভাবনাচিন্তায় সায় রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও। সেই কারণেই অমিত শাহ জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা আসনগুলি পুনর্বিন্যাসের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্ব নেওয়ার পর কাশ্মীর নিয়ে একাধিক বৈঠক করেন অমিত শাহ। কাশ্মীরের একাধিক আধিকারিক ও সেখানকার রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।এখন জম্মু-কাশ্মীরে মোট বিধানসভা আসন ১১১টি। জনসংখ্যা বাড়লেও এই আসন সংখ্যা দীর্ঘদিন বাড়েনি। এখন সেটাই করতে চায় কেন্দ্র। শেষবার কাশ্মীরে ডিলিমিটেশন হয়েছিল ১৯৯৫ সালে।
এদিকে, রাজ্যের বিধানসভা আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে আগেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল ন্যাশনাল কন্ফারেন্স ও পিডিপি। ওমর আবদুল্লা এনিয়ে গত জুন মাসে জানান, সরকার দেশের অন্যান্য স্থানেও ডিলিমিটেশন করেছে। জম্মু ও কাশ্মীরেও তা করে দেখুক। অন্যদিকে মেহবুবা মুফতি জানান, এনিয়ে সরকারের গোটা পরিকল্পনার কথা আগে জানতে চাই। কারণ এভাবে সাম্প্রদায়িক ভাবনা থেকে রাজ্যকে ভাগ করতে চায় সরকার।