ক্ষমতায় এসে বাংলাকে উন্নয়নে ভরিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার হাত ধরেই শ্রেষ্ঠ হয়ে উঠেছে বাংলা। আর উন্নয়নের জোয়ারে ভাসতে থাকা এই বাংলাতে মুখ থুবড়ে পড়ল বিজেপি। আর এর ফলে ফের ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবিরের বাংলা দখলের ভ্রান্ত স্বপ্ন।
লোকসভা নির্বাচনের আগে বেনজিরভাবে মমতাকে আক্রমণ করে মোদী বলেছিলেন মমতা স্পিডব্রেকার। কেন্দ্রের একাধিক জনমুখী প্রকল্প রাজ্যে আটকে গেছে বাংলায়। কিন্তু তথ্য বলছে অন্য কথা। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় জনমুখী প্রকল্পে কোনও অংশে কম যায় না মমতার পশ্চিমবঙ্গ। বরং অন্যান্যদের তুলনায় অনেক আগিয়ে। আর সেই শিরোপা বাংলার মুকুটে উঠে এসেছে খোদ কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের হাত থেকেই। যার জেরেই এবার বাংলায় একুশ দখলে মরিয়া বিজেপি পড়ল ধর্মসঙ্কটে।
জনকল্যাণ মূলক প্রকল্পের মুল্যায়ন করে একটি সর্বভারতীয় সংস্থা পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২ ডজন প্রকল্পকে ভারত সেরার স্বীকৃতি দিয়েছে। যা দেশের মধ্যে অন্যন্য নজির। তথ্য বলছে এই রাজ্যের প্রায় ৯ কোটি মানুষ কোনও না কোনও ভাবে সরাসরি সরকারের ভর্তুকি পাচ্ছেন। ফলে আরও একবার প্রমাণ হয়েছে বাংলার মানুষ মমতার আশ্রয়েই নিশ্চিন্ত আছেন।
তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলায় জনমুখী প্রকল্পের বহর বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। আর সেই সমস্ত প্রকল্পের মধ্যে একাধিক প্রকল্পই স্বীকৃতি কুড়িয়ে নিয়েছে কেন্দ্রের থেকে। তবে শুধু কেন্দ্র নয়, বাংলার প্রকল্প প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বমঞ্চেও। রাজ্যের মেয়েদের জন্য রাজ্যসরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্পকে স্বীকৃতি দিয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জও। তবে শুধু কন্যাশ্রী নয়, কেন্দ্রের তরফে দেশের মধ্যে সেরার শিরোপা তুলে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সবুজসাথী, উৎকর্ষ বাংলা, নির্মল বাংলা, ১০০ দিনের কাজের পাশাপাশি কন্যাশ্রীর হাতেও। আর এই সবের জেরেই ঘোর বিপাকে রাজ্য বিজেপি। নবান্ন দখলের লক্ষ্যে একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করলেও জনমুখী প্রকল্প ও উন্নয়নের প্রসঙ্গে খুব একটা রা কাড়তে নারাজ বিজেপি।
এই প্রসঙ্গে এক বিজেপি নেতার কথায়, আমাদের সরকারই বলছে তৃণমূল সরকার ভীষণ ভাল কাজ করছে। যার জেরে রাজ্য সরকারের হাতে পুরস্কারও তুলে দিচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এহেন পরিস্থিতিতে কোন মুখে আমরা রাজ্যসরকারের বিরোধিতা করব? গোটা ঘটনার জেরে জোর অস্বস্তির হাওয়া বইতে শুরু করেছে ৬ মুরলীধর সেন লেনে। লোকসভা নির্বাচনে ১৮ টি আসনে জয় হাসিল করার পর, বিজেপির তরফে অনুমান করা হচ্ছিল নবান্ন দখল শুধু সময়ের অপেক্ষা। তবে লড়াইটা যে এতটা সহজ হবে না তা এখন হাড়ে হাড়ে বুঝছেন বিজেপির শীর্ষ রাজ্য নেতারা।