এক বাইক চালককে আটক করাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল টালিগঞ্জ থানা চত্বর। মদ্যপ অবস্থায় এক যুবককে আটক করেছিল পুলিশ। তার জেরেই শ’খানেক উত্তেজিত জনতা থানায় ঢুকে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের হেনস্থা করে এবং থানায় ভাঙচুর চালায়। কিন্তু বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে পরিস্থিতি সামাল দিতে উল্টে আটক বাইক চালককেই ছেড়ে দিল পুলিশ।
রবিবার রাতের ঘটনা। থানায় ঢুকে হামলা এবং কর্তব্যরত পুলিশের কাজে বাধা এবং তাঁদের মারধর করার ঘটনায় সোমবার সকালে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তেজিত জনতার একটা অংশ যুবককে আটক করার পর থানার ভিতরে ঢুকে পড়ে। রনজয়কে ছাড়ানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। থানায় থাকা মহিলা কনস্টেবলদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশের দাবি, মহিলা পুলিশ কনস্টেবলদের ইউনিফর্ম ছেঁড়ার চেষ্টাও করা হয়। এই সময় তাঁদের মধ্যে কয়েক জন ওসির ঘরে ঢোকেন। সেখানে ওসিকে গালিগালাজও করেন বলে দাবি পুলিশের। এমনকি বাইরে থেকে থানা লক্ষ্য করে ইট-পাটকেলও ছোড়া হয়। তখনই পরিস্থিতি সামাল দিতে রনজয়কে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাত ১১টা নাগাদ। টালিগঞ্জের মেনকা সিনেমা হলের সামনে নাকা চেকিং চলছিল পুলিশের। সে সময়ই মদ্যপ অবস্থায় রনজয় হালদার নামে ওই যুবককে ধরে পুলিশ। রনজয় চেতলা এলাকার বাসিন্দা। তাঁকে আটক করার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি কর্তব্যরত পুলিশের সঙ্গে বচসা জুড়ে দেন। তারপর ফোন করে নিজের এলাকার লোকেদের খবর দেন। পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ৩০-৪০ জন চলে আসেন ওই নাকা পয়েন্টে। এসেই পুলিশের সঙ্গে বচসা জুড়ে দেন। পরিস্থিতি বেগতিক হচ্ছে বুঝে রনজয়কে টালিগঞ্জ থানায় নিয়ে চলে আসে পুলিশ। তবে রনজয়ের পরিচয় এখনও স্পষ্ট করে জানা যায়নি।